ময়নাগুড়ির নারকীয় খুনে অসম থেকে গ্রেপ্তার যুবক। নিজস্ব চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বন্ধুকে খুন করে বাড়ির উঠোনে মাটি চাপা দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ। তারপর থেকে ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত। অবশেষে অসম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
জলপাইগুড়ির বৃক্ষ্মপুর এলাকায় কাঠমিস্ত্রী খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পরিমল রায়কে অসমের সরাই ফুং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৪ জুন মোটর বাইকের মালিকের খোঁজে গিয়ে ময়নাগুড়ির ব্রক্ষ্মপুর এলাকার এক বাড়ির উঠোন থেকে গৌতম রায় নামে এক কাঠমিস্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন ভোর রাতেই বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় ঘটনার মুল অভিযুক্ত পেশায় কাঠমিস্ত্রী পরিমল রায় ও তার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়।
গত ১০ তারিখ অসমের শিবসাগর জেলা থেকে পরিমলের স্ত্রী সঙ্গীতাকে গ্রেপ্তার করে আনে পুলিশ। এবার মূল অভিযুক্ত পরিমল ধরা পড়ায়, কী কারণে এই খুন তা অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানাবে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
পাহাড়পুর এলাকায় একটি বাইককে বাঁশ ঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেয় পুলিশকে। তারা এসে আশপাশের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে গেলে সামনে আসে আরও এক রহস্যজনক ঘটনা। এক বৃদ্ধা দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বড় ছেলে পরিমল রায় জানায়, সে কাউকে খুন করে পুঁতে রেখেছে। এদিন সকালে সন্তানদের রেখে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ পরিমল, বয়স ৩৪ বছর ও তার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়, বয়স ২৯ বছর। বৃদ্ধার কথার সূত্র ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উঠোন খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে যুবকের দেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.