বিজেপির অভিযোগে অস্বস্তিতে শাসকদল।
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পাণ্ডুয়ায় নাবালিকার শ্লীলতাহানির ঘটনায় এবার নাম জড়াল তৃণমূলের। স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্ত প্রৌঢ় স্থানীয় তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। যদিও অভিযুক্তের স্ত্রী সক্রিয় তৃণমূল কর্মী নন বলেই দাবি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। ওইদিন বাড়িতে একাই ছিল হুগলির পাণ্ডুয়ার (Pandua) বাসিন্দা বছর ১৩-এর নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় চুপিসারে নাবালিকার ঘরে ঢোকে প্রতিবেশী প্রৌঢ় কেষ্ট কর্মকার। বেশ কিছুক্ষণ কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে সে। এরপর ওই নাবালিকা বাথরুমে যেতেই তার পিছু নেয়। শৌচাগারে ঢুকে কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে। নিগৃহীতার আর্তনাদে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ধরে ফেলে অভিযুক্তকে। এরপরই তাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। কেটে দেওয়া হয় মাথার চুল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। তাঁদের সামনেও চলে চড়-থাপ্পড়। এরপর সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির তরফে দাবি করা হয় যে, অভিযু্ক্ত কেষ্ট কর্মকার তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের মানসিকতা নিয়ে। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হলেন, অভিযুক্তের স্ত্রী সক্রিয় কর্মী বলে তাঁর জানা নেই। তবে যদি তা হয়েও এ অন্যায়ের শাস্তি প্রয়োজন। যদিও এই রাজনৈতিক তরজা চাইছেন না কিশোরীর পরিবার। তাঁদের দাবি শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.