Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jalpaiguri

মাকে খুন করে ‘কলিজা’ নিয়ে ঘুরছিল ব্যক্তি! ‘যেন ঘরে না ফেরে’, বাবার সঙ্গে দূরত্ব চান ছেলেমেয়েরা

ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Mother murdered in Jalpaiguri, son and daughter want father not to return home

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতকে। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:August 23, 2025 7:38 pm
  • Updated:August 23, 2025 7:39 pm   

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: স্ত্রীকে ‘খুন’ করে কলিজা হাতে ঘুরে বেড়িয়েছে স্বামী। শুক্রবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ব্যাঙকান্দি গ্রামের নৃশংস এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা সকলেই আতঙ্কে। আতঙ্কে মৃতার ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বাবা যেন ছাড়া না পায়, আর যেন বাড়ি ফিরতে না পারে। সেই কথাই বলছেন ছেলে বিক্রম ও মেয়ে উদয়িনী। এদিকে ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত রমেশ রায় একাধিকবার বলেছে, “ও আগে মেরেছিল।” আজ, শনিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

গতকাল, শুক্রবারের সেই হাড়হিম করা ঘটনার পর থেকে থমথমে ব্যাঙকান্দি গ্রাম। শনিবারও সেই ছবি বদলায়নি। রমেশ যদি জেল থেকে ছাড়া পায় তাহলে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাতে পারে। এখন সেই আশঙ্কা পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের। ছেলে বিক্রম এবং মেয়ে উদয়িনীও চান না, তাঁদের বাবা আর বাড়িতে ফিরুক। জেলে থেকেই তাঁর চিকিৎসা হোক, এমনই চাইছেন দু’জনে। মানষিক সমস্যা থাকলেও কেউ এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে পারে! ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকজন। বোন মেনকা রায় বলেন, “ভাবলেই শিউরে উঠছে শরীর। স্ত্রীকে খুন করে কেউ কলিজা হাতে ঘুরতে পারে ভাবাই যায় না।”

এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ঘরের রক্তমাখা মাটি-সহ বেশ কিছু সামগ্রী তদন্তের প্রয়োজনে সংগ্রহ করে নিয়ে যান তাঁরা। ময়নাগুড়ি থানা থেকে ধৃত রমেশ রায়কে এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কী কারণে এই খুনের ঘটনা জানতে চাওয়া হয়। অভিযুক্তের একটাই উত্তর, “ও আগে মেরে ছিল।” পুলিশের কাছেও একই দাবি করেছে সে। পুলিশের অনুমান, গতকাল সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। তারপরই খুন। ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ