সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দু’লাখ টাকারও বেশি মুক্তিপণ আদায়। এরপরেও অপহৃত ব্যবসায়ী-সহ চারজনকে বেধড়ক মারধর। ঘটনায় আহত চার। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার শিমুলতলা এলাকায়। অভিযোগ, এই ঘটনার মধ্যেই সন্দেহভাজন এক যুবককে স্থানীয় মানুষজন হাতেনাতে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এলাকার মানুষের দাবি, ইনফর্মার হিসাবে ওই যুবক নাকি কাজ করত। অপহরণকারীদের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে দাবি। ওই যুবককে ইতিমধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, ঘটনার পিছনে কে তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশিও।
অপহৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম মোমিন মণ্ডল। বাদুড়িয়ার শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা। মশলা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। কাজের সূত্রেই বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ী তাঁর তিন ব্যবসায়ী সহযোগীকে নিয়ে গাইঘাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অভিযোগ, যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়ি আটকায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় সমস্ত টাকা পয়সা। এখানেই শেষ নয়, পরে মোমিনের বাড়িতে ফোন করে চাওয়া হয় মুক্তিপণও। সেই মতো মোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আদায় করে দুষ্কৃতীরা।
এরপরেও অপহৃতদের রেহাই না দিয়ে চলে বেধড়ক মার। আহত অবস্থায় পরবর্তীতে গভীর রাতে তাঁদেরকে একটি এলাকায় ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে একটি গাড়িতে চেপে এলাকায় ফিরলে স্থানীয় মানুষজন ছুটে গিয়ে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। প্রথমে মোমিন মণ্ডল-সহ চারজনকে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এর মধ্যেই এক যুবককে এলাকায় মানুষজন সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে। ইনফর্মার সন্দেহে তাঁকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনায় স্থানীয় বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে পুলিশ। একইসঙ্গে ওই যুবকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.