Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tehatta

কিস্তি নিয়ে কারচুপি! তেহট্টে ব্যাঙ্ককর্মীকে আটকে রেখে ক্ষোভ ঋণগ্রহীতাদের

পুলিশের সামনে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর ঘেরাও মুক্ত হন ব্যাঙ্ককর্মীরা।

Tehatta borrowers stop bank wokers and allege fraud

নিজস্ব ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:October 16, 2025 9:15 pm
  • Updated:October 16, 2025 9:15 pm   

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নির্ধারিত কিস্তি শোধ করার পরেও অতিরিক্ত কিস্তি নেওয়ার অভিযোগ মাইক্রো ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। বন্ধন মাইক্রো ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কের বেতাই ইউনিটের কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ ঋণগ্রহীতাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তেহট্ট থানার পুলিশ। ব্যাঙ্কের কর্মীরা পুলিশের সামনে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর ঘেরাও মুক্ত হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে তেহট্ট থানার বেতাই উত্তরজিতপুরের দাসপাড়া এলাকায়।

Advertisement

ঋণগ্রহীতারা জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধন মাইক্রো ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কের বেতাই ইউনিট থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণ নির্দিষ্ট ৯৬টি সাপ্তাহিক কিস্তি হিসেবে শোধ করেছেন তাঁরা। ঋণগ্রহীতাদের দাবি, ৯৬টি কিস্তি জমা দেওয়ার পরেও অনেকের কাছে ৯৮ অথবা ৯৯টি কিস্তির টাকাও নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ইন্সুরেন্সের জন্য টাকা নিয়েও ইন্সুরেন্স না করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঋণের কিস্তি নিতে এসে ঋণগ্রহিতা মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ব্যাঙ্কের কর্মী। তাঁদের জানিয়েছেন, “আমরা গরীব মানুষ। আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নিয়েছে সেগুলো ফেরত দিন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।”

অন্যান্য ঋণগ্রহিতাদের অভিযোগ ৯০টি কিস্তি দেওয়া হলেও কিস্তির বইতে ৮৮টি কিস্তি জমা হয়েছে বলে লেখা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই হিসেবের গরমিল বারবার ঠিক করতে বলা হলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। অভিযোগ, গত ১৫ তারিখ ঋণের কিস্তি নিতে আসলে এই সমস্যার কথা তাঁদের জানানো হয়। ব্যাঙ্কের কর্মীরা এই সমস্যা সমাধান না করে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এর পরেই ব্যাঙ্ককর্মীর বাইক আটকে রাখেন স্থানীয় মানুষ।

ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ তাঁরা মোটরসাইকেল নিতে আসেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মহিলারা। সকালে ম্যানেজার সহ অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে এসে সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান স্থানীয় মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এসে জানান যাদের সমস্যা আছে তাঁদের ব্যাঙ্কে কথা বলতে হবে। এরপরেই উত্তেজনা বাড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তেহট্ট থানার পুলিশ। পুলিশের মধ্যস্থতায় ব্যাঙ্ককর্মীরা সকল মহিলা ঋণগ্রহীতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া এবং অন্যান্য যা ভুল হয়েছে তা ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ