Advertisement
Advertisement
Siliguri

ক্রেতা সেজে দোকানে হানা, কর্মীদের বেঁধে কয়েক কোটি টাকার সোনা-হিরের গয়না সাফ শিলিগুড়িতে

মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে লুটপাট করে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Theft at a gold shop in Siliguri

গ্রেপ্তার হওয়া এক দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 22, 2025 8:46 pm
  • Updated:June 22, 2025 8:46 pm  

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ক্রেতা সেজে দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দোকানের কর্মীদের বেঁধে চলল লুটপাট। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সোনা, হিরের গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশ দুষ্কৃতীদের তাড়া করে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র হিলকার্ট রোডে। পুলিশ গোটা শহরে নাকাচেকিং শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এই গোটা লুটপাট চলে বলে খবর।

রবিবার দুপুর ঠিক ২টো নাগাদ শহর একপ্রকার শুনশান। ঠিক ওই সময় প্রথমে কয়েকজন ওই সোনার দোকানে ঢোকে। ক্রেতা ভেবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিছুক্ষণ পরে দু’জন বেরিয়ে যায়। তারপর তারা আবার আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসে। এসেই নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। ভেতরে ঢুকে গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়। দোকানে থাকা ১২জন কর্মীর থেকে মোবাইল ছিনিয়ে, তাঁদের গলার টাই দিয়ে হাত বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর গোটা দোকান সাফ করে দেয়। পরে সবাইকে বাথরুমে ঢুকিয়ে বাইরে তালা দিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

কিন্তু ততক্ষণে দোকান মালিক প্রদীপ কর্মকারের ছেলে তাঁর মোবাইলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশকে জানিয়েছেন। তৎক্ষণাৎ শিলিগুড়ি থানা থেকে বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশ ওই দোকানে হাজির হয়। শুরু হয় দুষ্কৃতীদের তাড়া করা। বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিচ্ছিল বলে খবর। হিলকার্ট রোড ও খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ দু’জনকে ধরে ফেলে। যদিও বাকিরা অবশ্য ততক্ষণে পালিয়ে যায়। দোকানের নিরাপত্তাকর্মী রক্ষিত দেবনাথ বলেন, “প্রায় ১৫মিনিট ধরে তাদের অপারেশন চলে। ওই সময় কোনও ক্রেতা ছিল না।”

ঘটনার কথা শুনে ছুটে আসেন মেয়র গৌতম দেব। তিনি দোকানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন। তিনি বলেন, “শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েনি। সব ঠিক আছে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার ধারণা, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা বাইরের লোক। আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি কড়া হাতে এটা দমন করার জন্য।” বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “যেভাবে শহরের একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তাতে বলাই যায় শহরের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। কিন্তু এখন এসব বলার সময় নয়। তবে যেভাবে পুলিশ দুজনকে ধরেছে, তাতে তাদের ধন্যবাদ জানাই।” কয়েক কোটি টাকার সোনা ও হিরের গয়না লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ এবিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement