Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durgapur

‘স্কুল চালাব কীভাবে?’, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মাথায় হাত দুর্গাপুরের দুই স্কুল কর্তৃপক্ষের

নেপালি পাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয় ও জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৩৩জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

Two schools in Durgapur are in tension how to run schools after cancelation of teachers' jobs
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 3, 2025 6:30 pm
  • Updated:April 3, 2025 6:34 pm   

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন দুর্গাপুরের বেশ কয়েকজন। নেপালি পাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন এবং জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের চারজন। এবার স্কুল কীভাবে চলবে? সেই চিন্তায় প্রতি মুহূর্ত কাটাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু দুর্গাপুরই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন  স্কুলেও একই ছবি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬-এর এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হয়। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় শোনার পরেই মাথায় হাত পড়েছে নেপালি পাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. কলিমুল হকের। তাঁর কথায়, “আমাদের স্কুলে চার হাজার দুশো পড়ুয়া রয়েছে। ৩৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জনের চাকরি বাতিল হল। এবার আমরা স্কুল চালাব কী করে?”

এরপর তাঁর আরও বক্তব্য, ”মহামান্য আদালতের নির্দেশ নিয়ে আমার প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। তবে আমি মহামান্য আদালতের কাছে অনুরোধ করছি, যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যোগ্যদের চাকরি চলে গেলে তাঁদের কীভাবে সংসার চলবে? এবার শিক্ষাদপ্তর কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।” চাকরি বাতিলের পর কাঁদতে কাঁদতে সুনিমা মণ্ডল বলেন, “আমাদের কী ভুল ছিল? সমস্ত কিছু যাচাই করার পর চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। আজ আমাদের চাকরি বাতিল হল। আমরা এখন কী করব?” এই হাহাকার তো কমবেশি রাজ্যের সব স্কুলেই। রাতারাতি শিক্ষকদের চাকরি নাকচ হয়ে যাওয়ায় পঠনপাঠনের কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়েই চিন্তা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ