ছবি: সুশান্ত পাল।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Poll 2023) আগে নলহাটিতে এনআইয়ের হানা।একটি পাথর খাদান এলাকা থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। খাদানের যে ঘর থেকে উদ্ধার হয় সেই ঘরটি এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর। স্বভাবতই তাঁকে ঘিরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, পরিত্যক্ত ঘর থেকে সামান্য কিছু জিলেটিন উদ্ধার করে তাকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। বিজেপির অভিযোগ সব জেনেও পুলিশি মদতে এই বিস্ফোরক মজুতের কাজ চলছে। ফলে ভোটের মুখে নলহাটির বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে।
নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান আছে যার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়েই খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেপ্তার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। পুলিশের অনুমান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুদ আছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে। সেভাবেই বুধবার সকালে দুটি গাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর ভাঙা ক্র্যাশারে হানা দেয়। যে অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি ভাঙা প্রায় পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। সাড়ে আট ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এন আই এ।তবে তাতে কত পরিমান বিস্ফোরক ছিল তা জানা যায় নি। তবে যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিল করে দিয়ে যায় এনআইএ। এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তারা জানেন। কিন্তু চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পরে জেলাজুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবেই অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।
[আরও পড়ুন: ‘আপনার পিঠে কি ব্যথা?’ কেনেডিকে একনজর দেখেই রোগনির্ণয় করেছিলেন বিধান রায়!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.