প্রতীকী ছবি
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। ঠিকমতো দাঁড়ানো দায়। ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বালিকা মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা সুমিত্রা বাসিল। সেই সময় প্রসবযন্ত্রণা ওঠে তাঁর। সেখানেই শুয়ে পড়েন যুবতী। মায়ের ওই অবস্থায় কী করবে বুঝতে পারছিল না ছোট মেয়েটিও। ছুটে আসেন আরপিএফ ও জিআরপির জওয়ানরা। মহিলাকর্মীরাই ঘিরে দেন এলাকা। স্টেশনেই ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সুমিত্রা। মা-সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। ভর্তি হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
সুমিত্রা বাসিল। বয়স ৩৫ বছর। তিনি অন্ডালের বাসিন্দা। হাওড়া থেকে কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেস ধরার জন্য এসেছিলেন। ফিরছিলেন অন্ডালেই। সেই সময় ওঠে প্রসবযন্ত্রণা। অসুস্থ বোধ করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। সবই বুঝতে পারেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সময় ও পরিস্থিতি কোনওটাই ছিল না। তাই স্টেশনেই সন্তান প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডাকা হয় মহিলা পুলিশকর্মীদের। চারদিকে কাপড়ের দেওয়াল তৈরি করা হয়। কিছুক্ষণ পরই সদ্যোজাতর কান্নার শব্দ শোনা যায়।
আগে থেকেই তৈরি রাখা অ্যাম্বুল্যান্স করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুমিত্রা ও সদ্যোজাতকে। চিকিৎসকরা জানান মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছে। তাদের হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারকেও। ছুটে এসেছেন সদস্যরা। আরপিএফ ও জিআরপির ভূমিকায় খুশি পরিবার। পুলিশকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশকর্মীরা বিপদের ত্রাতার ভূমিকা নেওয়ায় খুশি রেলযাত্রীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.