বিশেষ সংবাদদাতা: ফেডারেশন বনাম ডিরেক্টর্স গিল্ডের সংঘাতে টলিপাড়ার বেশ কজন পরিচালকের শুট বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। যার জেরে পরিচালকদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছিলেন, পরিচালক, প্রযোজকদের কাজে যেন বাধা দেওয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের সচিবকে। এবার সেই রায় মেনেই শুক্রবার রবীন্দ্রসদনে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। উপস্থিত ছিলেন মামলাকারী ১৩জন পরিচালক ও ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস ও তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের সচিব শান্তনু বসু ঠাকুর।
এদিন বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে স্বরূপ বিশ্বাস জানান, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত। বিভিন্ন কাজের মধ্যেই শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। আজকে এই বৈঠকে আমরা বুঝতে চাইছিলাম যে সমস্যাটা কোথায়? সরকারের তরফে ও মহামান্য আদালতের তরফে আমাদের কাছে এঁর সমাধান মাননীয় বিচারপতি দিলেন। আশা করি আমরা এই সমস্যার সমাধান আমরা খুব তাড়াতাড়ি করতে পারব। আমরা কাউকে অন্ধকারে রাখি না। আলোকিতই রাখি।” পাশাপাশি অরিন্দম শিল বলেন, এদিন একটা অত্যন্ত ইত্তিবাচক বৈঠকে ছিলাম। যেটা বলার হঠাৎ করেই একটা পরিবার কেন নিজেদের মধ্যে সমাধান না খুঁজে আদালতে গেল তা আমাদের কাছে পরিস্কার নয়। একটি পরিবার যখন কোর্ট-কাছারি শুরু করে তা আর তখন পরিবার থাকে না। তাই আগামীতে তা যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ফেডারেশন সারাক্ষণ সামগ্রিকভাবে সমস্ত টেকনিশিয়ানদের পাশে থাকার চেষ্টা সবসময় করে।”
অন্যদিকে পরিচালক-অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় জানালেন, “এই বৈঠক হওয়াটাই আমার কাছে একটা অত্যন্ত ইতিবাচক ও সদর্থক দিক। আমরা এতদিন ধরে এটাই চেয়ে এসেছিলাম যে ফেডারেশনের যাঁরা কর্তাব্যক্তিরা রয়েছেন তাঁরা আমাদের বক্তব্যটুকু শুনুক। আমরা আজ এখানে এসেছিলাম এই সমস্যার একটা সমাধানের জন্যই। আজকের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। এই বৈঠকটাই আমরা বহুদিন ধরে করতে চেয়েছিলাম। আগামীতে যদি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ও ফেডারেশন মনে করে তাহলে আমরা ফের বৈঠকে বসব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.