সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাস্তা থেকে বাংলাদেশি অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (Raima Islam Shimu) খণ্ডিত দেহ উদ্ধার। রাস্তার পাশে রাখা একটি বস্তার মধ্যে ভরা ছিল দেহের টুকরো টুকরো অংশগুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিনেত্রীর স্বামী শাখাওয়াত আলি নোবেল এবং তার বন্ধু ফারহাদকে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে সাখাওয়াত আলি নোবেল।
রবিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শিমু। সোমবার ঢাকার কেরানিগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে অবস্থিত আলিয়াপুর এলাকার রাস্তা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকায় ভিড় জমে যায়। শিমুর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। তা উদ্ধার করে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিন রাতেই শিমুর পরিবার মর্গে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দার জানান, হত্যার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিছে। সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। সোমবার রাতেই শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন ঢাকার কলাবাগান থানায় নোবেল-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খাওয়াত আলি নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতভর পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে অভিনেত্রীর স্বামী। হত্যার কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। গাড়িটিতে রক্তের চিহ্ন রয়েছে।
১৯৯৮ সালে কাজি হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমার মাধ্যমে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন শিমু। পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও দর্শকরা তাঁকে পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন শিমু। সর্বশেষ একটি বেসরকারি টিভিতে মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি টুকটাক অভিনয়ও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। অভিনেত্রীর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ভগ্নিপতি নোবেল মাদকাসক্ত। প্রায়ই শিমুকে মারধর করত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.