অভিষেক চৌধুরী, কালনা: গতানুগতিক প্রথা ছেড়ে বিকল্প হিসাবে পাতিলেবু চাষকেই বেছে নিচ্ছেন পূর্বস্থলীর অনেক চাষি। কারণ, অল্প ব্যয় ও পরিশ্রমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্যে পাতিলেবু পাড়ি দেওয়ায় ‘লক্ষ্মীলাভ’ হচ্ছে তাঁদের। কর্মসংস্থান হচ্ছে চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকা মহিলাদেরও।
বাড়ি হোক বা অনুষ্ঠান, শরবতের দোকান হোক বা হোটেল-রেস্তোরাঁ, সারাবছর ধরেই পাতিলেবুর চাহিদা থাকে। গরম বাড়তেই সেই চাহিদা ওঠে তুঙ্গে। কোনও কোনও সময় পাতিলেবুর দাম চড়া হতেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় শরবত ব্যবসায়ীদের। ফলে এই চাষে লাভ যে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এদিকে এতে যত্নের প্রয়োজন হয় না, তাই পরিশ্রমও কম লাগে। অত্যধিক গরম বা আর্দ্রতায় গাছের তেমন কোনও ক্ষতি হয়না। শুধু তাই নয়, একটি লেবু গাছ ফল দেয় প্রায় এক দশক ধরে। তোতন সাঁতরা নামে পূর্বস্থলীর এক চাষি বলেন, “প্রায় কুড়ি বছর ধরে আমরা হাইব্রিড পাতিলেবুর চাষ করে চলেছি। বেশ লাভজনক চাষ। খরচ কম। যাদের জমি জায়গা বেশি আছে, তারা এই লেবুগাছ বেশি লাগাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “গাছ লাগানোর দু-তিন বছরের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। একটি গাছ পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। পাতিলেবু চাষে বছরে দুবার ফল পাওয়া যায়। একটি বড় গাছে চার থেকে পাঁচ হাজার ফল মেলে। পৌষ মাষে পাতিলেবুর দামটা বেশি পাওয়া যায়। প্রতি লেবু পাইকারি ৩-৪ টাকা দরে দাম মেলে। বাকি সময়ে ২-৩ টাকা দরে বিক্রি হয়। এই লেবু নিতে ব্যবসায়ীরা বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকে আসেন।”
লেবু তোলার জন্য প্রয়োজন হয় কর্মীদের। মহিলা কর্মীরা এই কাজে বেশি দেখা যায়। লেবু তোলার জন্য প্রতিদিন তাদের পারিশ্রমিকও মেলে বলে জানান আদুরি মাঝি, সবিতা সাঁতরারা। কৃষি বিশেষজ্ঞ পার্থ ঘোষ জানান, কাঁটা প্রকৃতির এই গাছে গবাদি পশুর উপদ্রব কম। কষ্টসহিষ্ণু এই গাছের পরিচর্যাও কম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাতিলেবু চাষের ঝুঁকি অনেকটাই কম ও লাভজনক। তিনি বলেন, “করোনা পরবর্তীকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ‘সি’ ভরপুর পাতিলেবু ব্যবহারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশি পরিমাণে। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, হোটেলে পাতিলেবুর চাহিদা রয়েছে। এই ফসল সহজেই যেকোনও বাজারে বিক্রি হয়। একারণে দিনদিন চাষের
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.