জলে ডুবে চাষের জমি। নিজস্ব চিত্র
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হল হাওড়ার ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ভাটোরা। ক্ষতির মুখে প্রায় দু’হাজার বিঘা ধানজমি এবং সবজির খেত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়েছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। জল না কমলে কীভাবে চাষ হবে? ফসলের কতটা ক্ষতি হল? সেসব ভেবেই মাথায় হাত কৃষকদের।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। বিহার, ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। ডিভিসি জল ছাড়ায় রূপনারায়ণ এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। মূলত রবিবার রাত থেকে জল বাড়ছিল উত্তর ভাটোরায়। সোমবার আরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়। বিকেলের দিকে আরও বেশি জায়গা প্লাবিত হয়। মাঠঘাট তো বটেই, গ্রামের রাস্তাও ডুবে যায়। তবে দক্ষিণ ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া চিতনানের বিভিন্ন অংশের মাঠঘাট ডুবলেও বড় রাস্তাঘাট সেভাবে ডোবেনি। মাঠ ঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার বিঘার থান এবং সবজি চাষ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক গায়েন এবং ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা বেগমের।
স্থানীয়দের বক্তব্য গত বর্ষার পর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় মানুষ ধান এবং সবজি চাষ করেছিল। ধান পাকা হয়ে গিয়েছিল এবং সবজিও ভালই হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে কার্যত পাকা ধানে মই হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়লেন। এদিকে উত্তর ভাটোরায় রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় লোকেরা ঘরবন্দিও হয়ে পড়েছেন। অশোক গায়েন বলেন। বিধায়ক সুকান্ত পাল এসেছিলেন পরিদর্শনে। তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে প্রশাসন পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। কাউকে সরানোর মতো বা ত্রাণ শিবির খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি। এখনও ভয়ের মত তেমন কিছু হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.