সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাথরুমের পাম্পে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জল জমে গিয়েছিল কমোডে। বাথরুমে যখন পাম্প মেরামতির কাজ করছিলেন কলের মিস্ত্রি, তখন কমোডে ভেসে উঠল দু’দিনের এক সদ্যোজাতের দেহ! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পেরিনথালমান্না শহরের। বাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[অঙ্কে ভুল করায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের গলায় বেত ঢুকিয়ে শাস্তি শিক্ষকের]
কেরলের পেরিনথালমান্না শহরে থাকে আব্দুল রহমান। তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই চিকিৎসক। বাড়ির একেবারেই লাগোয়া তাঁদের ক্নিনিক। সেখানেই রোগী দেখেন ওই চিকিৎসক দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ক্নিনিকের বাথরুম পরিষ্কার করছিলেন বাড়ির পরিচারিকা। তখনই তিনি খেয়াল করেন, বাথরুমে পাম্পটি কাজ করছে না। জলে ভরে গিয়েছে কমোড। বিষয়টি জানার পর কলের মিস্ত্রিকে খবর দেন আব্দুল রহমান। কলের মিস্ত্রি যখন বাথরুমে পাম্পটি সারাচ্ছিলেন, তখনই কমোডে জমে থাকা জলে ভেসে ওঠে দু’দিনের এক সদ্যোজাতের দেহ। ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় থানায় খবর দেন ওই চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কমোড থেকে সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আব্দুল রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু, ক্নিনিকে বাথরুমে টয়লেটে সদ্যোজাতে মৃতদেহ এল কীভাবে? ওই ক্নিনিকে দিনভর রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও রোগী সম্ভবত কমোডে সদ্যোজাতটিকে ফেলে ফ্ল্যাশ চালিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[টোলপ্লাজায় সশস্ত্রবাহিনীর আধিকারিকদের হয়রান করা চলবে না]
দিন কয়েক আগেই একটানা কান্নায় অতিষ্ঠ হয়ে সদ্যোজাত সন্তানকে আবর্জনার স্তুপে ফেলে দিয়েছিল মা। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব দিল্লির বিনোদপুর এলাকায়। অভিযুক্ত মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আবর্জনার স্তুপে পড়ার পরেও গোটা একটি দিন জীবিত ছিল শিশুটি। পরে হাসপাতালে মারা যায় সে।
[ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের বাবা কিনা তস্কর গ্যাংয়ের ‘বস’!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.