প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। এরই মধ্যে সে রাজ্যের ভাগলপুরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা দুই বৃদ্ধার নাম সামনে এসেছে। বহু বছর আগেই যাঁরা ভোটাধিকার পান। সম্প্রতি বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াতেও তাঁদের নাম যাচাই হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিষয়টি নজর এড়ায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ভাগলপুরের জেলা শাসক দপ্তর ও পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে তদন্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জেলা শাসকের নির্দেশে দুই প্রবীণার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ভাগলপুরের জেলা শাসক জানিয়েছেন, “নির্দিষ্ট তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় পাওয়া গিয়েছে। যাচাইয়ের পর ফর্ম-৭ পূরণ করে আইনসম্মত ভাবে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই এসেছে।”
যে দুই বৃদ্ধাকে নিয়ে বিতর্ক তাঁদের নাম ইমরানা খাতুন এবং ফিরদৌসিয়া খাতুন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ইমরানার বাড়িতে পৌঁছলে বাসিন্দারা দরজা খোলেননি। কারোর সঙ্গে কথা বলতেও চাননি তাঁরা। অন্যদিকে ফিরদৌসিয়ার ছেলে মহম্মদ গুলরেজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কোনও তদন্তের জন্য এখানে কেউ আসেনি। কী প্রমাণ আছে সেটা আপনারা দেখুন। বিএলও আগেই এসেছিলেন এবং সব কাগজপত্র নিয়েছিলেন। আমরা তো প্রতিবার ভোট দিই।” উল্লেখ্য, ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তদন্ত অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালে ফিরদৌসিয়া তিন মাসের ভিসায় ও ইমরানা ৩ বছরের ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। আর ফিরে যাননি।
SIR নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক এবং সামাজিক কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে বহু মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা এ দেশের নাগরিক হন, ভোটাধিকারও পান। পরিসংখ্যান বলছে, ইমরানা বা ফিরদৌসিয়ার মতো মানুষের সংখ্যা এদেশে কয়েক কোটি। তাঁদের সকলকেই কি পাকিস্তানি বলে দেগে দেওয়া হবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.