সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক রোগীকে হুইস্কি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে মেঘালয়ের এক চিকিৎসক। লকডাউনে যেখানে জরুরী পরিষেবা ছাড়া কিছুই পাওয়া সম্ভব নয় সেখানে রোগীকে হুইস্কি খেতে বলায় বিতর্কে জড়ান চিকিৎসক। রোগী মদে আসক্ত হওয়ায় তাঁকে হুইস্কি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে বিতর্কের মুখে পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন অভিযুক্ত ডাক্তার।
মেঘালয়ের ধানখেতির দাঁতের চিকিৎসক বি পূরকায়স্থ। শুক্রবার ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’-এ আক্রান্ত এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি তাঁর কাছে গেলে তিনি দু বোতল হুইস্কি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর এই পরামর্শকে রাজ্যের চিকিৎসা মহলে অবৈজ্ঞানিক ও অনৈতিক বলে দাবি করা হয়। যদিও এই ঘটনার একদিন পর মেঘালয় সরকার জানান চিকিৎসকের পরামর্শ থাকলে তবেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে মদ। তবে মদে আসক্ত ব্যক্তির কাউন্সিলিং না করে কীভাবে তাঁকে মদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কয়েকদিন আগে মদ বিক্রিতে ছাড় দেওয়ায় কেরল হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পিনারাই বিজয়নের সরকার। লকডাউনে মদে আসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার প্রয়োজনে শুধুমাত্র মদ খেতে বললে পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হবে বলে জানায় হাই কোর্ট। তবে মেঘালয়ের চিকিৎসক নিজের পরামর্শের সপক্ষে সাফাই হিসেবে বলন,”এই ব্যক্তি মদে আসক্ত ব্যক্তির ঘুমের সমস্যা থাকায় আমি তাঁকে অল্প পরিমাণে মদ খেতে বলি।” তাই তিনি প্রেসক্রিপশনে এই ব্যক্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে অর্থাৎ তিন পেগের বেশি খেতে বারণও করেন। যদিও লকডাউনে মদকে জরুরি পরিষেবার মধ্যে ধরা হয় না। লকডাউনে প্রতিটি মদের দোকান মালিকদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবুও যারা ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’-এ আক্রান্ত তারা বৈধ প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে মদ কিনতে পারবেন বলে জানা যায়। তবে ডঃ পুরকায়স্থর প্রেসক্রিপশন দেখে নিন্দা করেন আরেক চিকিৎসক। পাশাপাশি তাঁর এই অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন অন্য চিকিৎসকেরা।
লকডাউনের সময় রাজ্য সরকার প্রয়োজনে বাড়িতে মদের সরবরাহ দেবে বলে ডঃ পুরকায়স্থ জানান। তবে বেশিরভাগ চিকিৎসকদের মতে, একজন রোগীকে কোনও চিকিৎসক হঠাৎ মদ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেননা। একমাত্র জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে তখনই তা দেওয়া হয়। তবে শিলং-এর রিহ্যাব সেন্টারগুলি ডঃ পুরকায়স্থর মতামতের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে বলেন,‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’-এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে অল্প পরিমানেও মদ খেতে না দিলে তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.