Advertisement
Advertisement

গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান, ‘বীর চক্রে’ সম্মানিত অভিনন্দন বর্তমান

পাকিস্তানে ঢুকে পাক যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়ে ছিলেন অভিনন্দন ।

Abhinandan Varthaman accorded Vir Chakra | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 22, 2021 2:32 pm
  • Updated:November 22, 2021 3:22 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার অভিনন্দন বর্তমানকে (Abhinandan Varthaman ) ‘বীর চক্র’ (Vir Chakra) সম্মানে ভূষিত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pakistani F-16) যুদ্ধবিমানকে গুলি করে অবতরণ করান তৎকালীন উইং কম্যান্ডার (Wing Commander) অভিনন্দন বর্তমান। এদিন সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্র’ সম্মানে সম্মানিত করা হল। 

Advertisement

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জম্মু থেকে শ্রীনগরের যাওয়ার পথে সেনাদের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় জইশ জঙ্গি গোষ্ঠী। ওই বিস্ফোরণে শহিদ হন ৪০ জনের বেশি জওয়ান। ১২ দিনের মাথায় আকাশপথে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জইশদের জঙ্গিঘাঁটিতে পালটা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ধ্বংস করে দেয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি।

এরপর আকাশপথে ভারতে ঢুকে পালটা হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমান এফ-১৬। যদিও ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেয়নি। বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন মিগ-২০০ নিয়ে পাক যুদ্ধবিমানটিকে ধাওয়া করে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েন। এবং গুলি করে নামান পাকিস্তানি এফ-১৬ বিমানটিকে।

[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! ত্রিপুরা ইস্যুতে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সামনে ধরনায় তৃণমূল সাংসদরা]

এই ঘটনার পরেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ায় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে বন্দি করে সে দেশের প্রশাসন। এদিকে অভিনন্দনের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয় ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। পাকস্তানকে হুঁশিয়ারি দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘও। অবশেষে কূটনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। মুক্তি দেওয়া হয় অভিনন্দন বর্তমানকে।

এদিন অভিনন্দন বর্তমান যেমন ‘বীর চক্র’ সম্মান পেলেন, তেমনই জম্মু-কাশ্মীরে কুখ্যাত জঙ্গিদের খতম করা প্রকাশ যাদবকে মরণোত্তর  ‘কীর্তি চক্র’ সম্মানে সম্মানিত করা হল। এই সম্মান তুলে দেওয়া হল প্রয়াত সেনার মা ও স্ত্রীর হাতে। মরণোত্তর ‘সূর্য চক্র’ সম্মান পেলেন মেজর বিভূতি শঙ্কর ধৌনদিয়াল। একটি সেনা অপারেশনে পাঁচ জঙ্গিকে খতম করেন তিনি। একই অপারেশনে ২০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেন তিনি। মেজর বিভূতির স্ত্রী ও মায়ের হাতে দেশের অন্যতম সামরিক সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এছাড়াও সোমবার রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ মরণোত্তর ‘সূর্য চক্র’ সম্মানে সম্মানিত করলেন নায়েব সুবেদার সোম্বিরকে। সেনার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা এক জঙ্গিকে খতম করেন সোম্বির। নায়েব সুবেদারের স্ত্রীর হাতে ‘সূর্য চক্র’ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।

[আরও পড়ুন: আদালত অবমাননার অভিযোগ, ত্রিপুরা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের]

স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে ঘোষিতে হয় বীরত্বের পুরস্কার। সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে ‘পরমবীর চক্র’, ‘অশোক চক্র’, ‘মহাবীর চক্র’, ‘কীর্তি চক্র’, ‘বীর চক্র’ ও ‘সূর্য চক্র’।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ