Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘তসলিমা প্রধানমন্ত্রীর বোন হলে রোহিঙ্গারা ভাই নয় কেন?’

প্রশ্ন তুললেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি।

AIMIM chief Asaduddin Owaisi Slams Centre on Rohingya Issue
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 15, 2017 7:58 am
  • Updated:September 15, 2017 8:03 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন্দ্রের কঠোর অবস্থানের কড়া সমালোচনায় আসাদউদ্দিন ওয়েসি। অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধানের বক্তব্য, যদি তসলিমা নাসরিন ভারতে থাকতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গারা নয় কেন?

Advertisement

সন্ত্রাস জর্জরিত রোহিঙ্গাদের প্রতিদিন অন্ন জোগাচ্ছে এই শিখ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা  ]

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের কারণে ঘরছাড়া রোহিঙ্গারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চাপে বিপর্যস্ত। উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেননা উদ্বাস্তু সমস্যা সামলাতে সে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। ভুক্তভোগী ভারতও। রোহিঙ্গাগের দেশে ঠাঁই না দেওয়ারই পক্ষে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে অবশ্য দ্বিমত পোষণ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ভারতের থেকে এরকম ব্যবহার প্রত্যাশা করেনি তারা। পালটা ভারত জানিয়েছে, উদ্বাস্তু সমস্যা নয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।

যেহেতু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগের সরাসরি অভিযোগ আছে তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারত। মূলত এই কারণেই রাখাইনে অভিযান চালায় মায়ানমার সেনা। ইতিমধ্যে আল কায়েদাও হুমকি দিয়েছে যে, রোহিঙ্গা নির্যাতনের কড়া মাশুল দিতে হবে মায়ানমারকে। ভারত ও বাংলাদেশের মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর অরজি জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। সুতরাং নিরাপত্তার দিক থেকে ভারত কোনও আপস করতে রাজি নয়। সুপ্রিম কোর্টকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে কেন্দ্র। ধরে নেওয়া হচ্ছে, দেশের দরজা রোহিঙ্গাদের জন্য বন্ধই করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রকে বিঁধলেন আসাদউদ্দিন।

রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ করছে মায়ানমার সেনা, বিস্ফোরক অভিযোগ শরণার্থীদের ]

নেতার প্রশ্ন, তসলিমা নাসরিনের মতো বাংলাদেশের লেখিকা যদি ভারতে থাকতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গারা নয় কেন? তসলিমাকে প্রধানমন্ত্রীর বোন হিসেবে উল্লেখ করে, তাঁর পালটা প্রশ্ন, রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর ভাই হতে পারে না কেন? তাঁর দাবি, এভাবে মানবিকতার পরিচয় দিতে পারে না ভারত। সর্বস্ব হারানো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠালে বিশ্বের কাছে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হবে না। রাষ্ট্রসংঘের কাছেও দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। ফলে সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাকাপাকি সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই মনোভাব প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। এভাবে যে দেশ সুপার পাওয়ার হয়ে উঠতে পারবে না এমনটাই মত আসাদউদ্দিনের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস