সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় ভয়াবহতায় চমকে গিয়েছে গোটা দেশ। এরপর থেকেই দুর্ঘটনার কারণ জানতে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ শুরু হয়। যা উদ্ধারও হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে?
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর সেদিকেই। দুর্ঘটনার একদিন পরে বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ জুন, মঙ্গলবার বায়ুসেনার বিমানে উদ্ধার হওয়া দুটি ব্ল্যাক বক্স আহমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে। এএআইবির দপ্তরে মঙ্গলবার রাতেই ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজ শুরু করেন প্রযুক্তিবিদরা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমানের সামনের ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (সিপিএম) উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মেমরি মডিউল উদ্ধার করা হয়েছে ব্ল্যাক বক্স থেকে। সেই তথ্য এএআইবি গবেষণাগারে ডাউনলোড করা হয়েছে। সিভিআর এবং এফডিআরের তথ্য এখন পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। মনে করা হচ্ছে, সেই পরীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে দুর্ঘটনার কারণ। যার জন্য অপেক্ষা করছে গোটা দেশ।
গত ২৪ জুন গুজরাট স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানায়, গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১২ জন ক্রু মেম্বার, ২২৯ জন যাত্রী এবং যে জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানকার আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন, মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এআই ১৭১ বিমানটি। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। প্রাণ বেঁচেছে উড়ানে থাকা মাত্র একজনের। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। কীভাবে এমন অভিশপ্ত ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিমানের দু’টি ব্ল্যাক বক্সই যার হদিশ দিত পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.