সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরের দিনই কংগ্রেস (Congress) ছাড়ার ঘোষণা করে দিলেন অনিল অ্যান্টনি। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির (AK Anthony) পুত্র জানিয়েছেন, বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করা দল একটি টুইট মুছে দেওয়ার জন্য জোর করছে। সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেই দল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিজেপিকে সমর্থন করে মঙ্গলবার টুইট করেছিলেন অনিল। তাঁর কথা থেকেই পরিষ্কার, দলবিরোধী মন্তব্য করা টুইটটি মুছে ফেলতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। তার জেরেই দলত্যাগ।
দেশজুড়ে মোদি: দ্য ইন্ডিয়া কোয়েশ্চেন নামে তথ্যচিত্রটির (BBC Documentary) প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেরল কংগ্রেসের তরফে সাফ জানানো হয়, নানা জায়গায়ে এই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করবে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার একটি টুইট করেছিলেন অনিল। তিনি লেখেন, “বিজেপির (BJP) সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছেই। কিন্তু বিবিসির মতো ব্রিটিশ সংস্থা, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ করেছে, তাদের সমর্থন করা উচিত না। বিবিসির এই তথ্যচিত্রকে যারা সঠিক বলে মনে করছেন, তাঁদের এই পদক্ষেপের জেরে ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হবে।” প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রকের তরফে আগেও বলা হয়েছিল এই তথ্যচিত্রের ফলে ঔপনিবেশিকতার প্রসার ঘটবে।
এই টুইটের পরেই কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করেন নেটিজেনরা। অনিলের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে টুইট মুছে ফেলতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বের এহেন আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন অনিল। তাঁর মতে, বাকস্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করে যে দল, তারা টুইট মোছার জন্য জোর করতে পারে না। দলের এই নির্দেশ মানতে পারেননি অ্যান্টনি। তাই এই আচরণকে ভন্ডামির আখ্যা দিয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি। গান্ধী শিবিরের ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত শশী থারুর ছাড়া আর কাউকে ধন্যবাদ দেননি তিনি।
I have resigned from my roles in .Intolerant calls to retract a tweet,by those fighting for free speech.I refused. wall of hate/abuses by ones supporting a trek to promote love! Hypocrisy thy name is! Life goes on. Redacted resignation letter below.
— Anil K Antony (@anilkantony)
প্রসঙ্গত, তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলেই অভিহিত করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবারই রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সত্যিটা সবসময়ই বেরিয়ে পড়ে। তাই জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ” BBC-র সিরিজ অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ভারতের মুসলিমদের প্রতি তাঁর সরকারের মনোভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটাই এই সিরিজে দেখানো হবে। আর তাতেই আপত্তি কেন্দ্রের। ছবির প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.