Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rahul Gandhi

‘গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক, কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা’, রাহুলের ভোটচুরির অভিযোগের পালটা বিজেপির

কমিশনের ভাষাতেই বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের।

BJP hits back at Rahul Gandhi's ‘Vote Theft’ claims
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 8, 2025 10:56 am
  • Updated:August 8, 2025 10:56 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ‘অ্যাটম বোমা’। বিজেপি-কমিশনের যোগসাজশে ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ। নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে আগেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে রাহুলকে। এবার প্রায় একই সুরে আক্রমণে নামল বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, ২০২৪ লোকসভা থেকে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির আঁতাঁতের মাধ্যমে বিরাট ভোট জালিয়াতি চলছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ২৫টি আসনে ভোট চুরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ২৫টি কেন্দ্রেই হারজিতের ব্যবধান ৩৩ হাজারের কম। কর্নাটকের একটি বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকার বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে রাহুল দাবি করেন, স্রেফ ওই একটি কেন্দ্রেই ১ লক্ষের বেশি ভোট চুরি হয়েছে। মহাদেবপুরা বিধানসভার ভোটার লিস্ট তুলে ধরে কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, ওই কেন্দ্রে ডুপ্লিকেট ভোটার ১১,৯৬৫, ভুয়ো ভোটার ৪০,০০৯, এক ঠিকানায় একাধিক ভোটার ১০,৪৫২, ভুল ছবি রয়েছে ৪,১৩২, ফর্ম ৬ এর অপব্যবহার করেছেন ৩৩,৬৯২ ভোটার।

যদিও বিজেপি বলছে, বিরোধী দলনেতা যে সব অভিযোগ করছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।”

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ