Advertisement
Advertisement
Air India Crash

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে কার্যত ক্লিনচিট! কী বলছে ড্রিমলাইনার প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং?

মৃতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা।

Boeing Statement Follows Air India Crash Report
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 12, 2025 11:42 am
  • Updated:July 12, 2025 11:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কার্যত ক্লিনচিট পেয়ে গিয়েছে ড্রিমলাইনার প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং। প্রাথমিক রিপোর্টে যা ইঙ্গিত তাতে বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভুলবশত বিমানের ইঞ্জিনের জ্বালানি বন্ধ হয়ে যাওয়াটাই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জ্বালানি বন্ধের নেপথ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা সেটা তদন্তসাপেক্ষ। এই রিপোর্টে খানিকটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বিমানসংস্থা বোয়িং। তারা বলছে, আগামী দিনেও তদন্তে সহযোগিতা করবে তারা।

Advertisement

বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানিই ‘রান’ (চালু) থেকে কাটঅফ (বন্ধ) মুডে চলে যায়। ইঞ্জিন বন্ধের ঠিক আগের মুহূর্তে একজন পাইলট অপরজনকে বলেন, ‘ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?’ অপর পাইলট জবাব দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’ ইঞ্জিন বন্ধের পর জরুরি ভিত্তিতে RAT (‘র‍্যাম এয়ার টার্বাইন) চালু করা হয়। এই RAT ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়। বিমান ওড়ার সময়ে জ্বালানি ঠিকঠাক ছিল। বিমান ওড়ার সময়ে ফ্ল্যাপ সেটিং এবং গিয়ারের অবস্থাও স্বাভাবিক ছিল। সেগুলি সঠিকভাবে পরীক্ষাও করা হয়। সব মিলিয়ে যা যা প্রাথমিক রিপোর্টে এসেছে তাতে বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের থেকে পাইলটদের ভুলের দিকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে।

এই রিপোর্টে স্বস্তি পাওয়ার পর মুখ খুলেছে বোয়িং। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা। আমরা আগের মতোই এই তদন্তে সহযোগিতা করব। এবং আমাদের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখব।” প্রাথমিক তদন্তের পর বোয়িংকে কোনও নোটিস দেয়নি এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। তবে বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বলছে, তারা এএআইবির থেকে ড্রিমলাইনার AI171 সম্পর্কে আরও তথ্য চাইবে।

যদিও বোয়িংয়ে যান্ত্রিক গোলযোগের তত্ত্ব এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অভিশপ্ত বিমানের পাইলট সুমিত সভরওয়ালের ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহকারী পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্দার। ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁরও। এ হেন অভিজ্ঞ দুই পাইলট ভুলবশত জ্বালানি বন্ধ করে দেবেন, সেটা অস্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবেই যান্ত্রিক গোলযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement