সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মানুষকে ঠকানোর ঘটনা ভারতের মতো দেশে নতুন নয়। সেই পরম্পরা যে এআইয়ের যুগেও অব্যাহত, তার প্রমাণ মিলল বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court) একটি মামলায়। অসুস্থ নাবালিকাদের চিকিৎসার নামে শ্লীলতাহানি এবং যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন এক ‘তান্ত্রিক’। ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল বম্বে হাই কোর্ট। এই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আজকের দিনেও মানুষ সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তান্ত্রিকের কাছে যাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ বছরের ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে প্রথমবার থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালে। ছয় জন বিশেষ ভাবে সক্ষম কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাদের সুস্থ করে তোলার জন্য তাঁদের মা-বাবার কাছ থেকে মোট ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন তান্ত্রিক। এক সময় বিশেষ ভাবে সক্ষম কিশোরীদের পরিবারের সদস্যদেরও অন্ধ বিশ্বাসের লাগাম ছেড়ে। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেন।
তান্ত্রিকের বিরুদ্ধ মামলা ওঠে নিম্ন আদালতে। ওই আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। এর পর বম্বে হাই কোর্টে মামলা করেন তান্ত্রিক। যদিও সেখানেও রেহাই মিলল না। একই সাজা শোনালেন উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডে। বিচারপতিরা কার্যত অবাক হন আজকের দিনে অন্ধবিশ্বাসের এমন ঘটনায়। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এটি সম্পূর্ণ অন্ধবিশ্বাসের মামলা। আজকের দিনেও মানুষ সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তান্ত্রিকের কাছে যাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। শেষ পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.