Advertisement
Advertisement

ঘুষ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআই আধিকারিকের

তদন্ত হস্তক্ষেপ করতেন অজিত দোভালও, অভিযোগ ওই আধিকারিকের।

CBI officer blasts at minister
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 19, 2018 7:34 pm
  • Updated:November 19, 2018 7:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই বনাম সিবিআই লড়াইয়ে নয়া মোড়। এবার নাম জড়াল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-ঘনিষ্ঠ এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তদন্ত থেকে নিষ্কৃতি পেতে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী হরিভাই পার্থীভাই চৌধুরিকে কয়েক কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী, এমনটাই অভিযোগ করলেন সিবিআই আধিকারিক মণীশ কুমার সিং। এমনকী একাধিক মামলার তদন্তে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত দোভালও হস্তক্ষেপ করতেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই সিবিআই আধিকারিক।

Advertisement

[বিপন্ন দেশের গণতন্ত্র, একজোট হওয়ার বার্তা নায়ডু-মমতার]

সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এই মণীশ কুমার সিং। কিন্তু অলোক বর্মাকে যে রাতে সিবিআই ডিরেক্টরকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, সেই রাতে মণীশ শর্মাকেও নাগপুরে বদলি করে দেওয়া হয়। বদলির সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মণীশ।

এদিন, তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল। নিজের বদলির বিরুদ্ধে যুক্তি দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মণীশ সিং। তাঁর মধ্যে সবচেয়ে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি। সোমবার আদালতে মণীশ বলেন, “আমার কাছে এমন কিছু নথিপত্র আছে যা দেখলে আদালতও অবাক হয়ে যাবে। একাধিক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বহু প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে আমি একাধিক তথ্য প্রমাণ পেয়েছিলাম। সে খবর সরকারের কাছে পৌঁছাতেই অসাধু উপায়ে আমাকে বদলি করা হয়েছে।” নিজের অভিযোগপত্রে সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নামও উল্লেখ করেন মণীশ সিং। তিনি বলেন, একাধিক মামলার তদন্তে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন অজিত দোভাল। রাকেশ আস্তানাকে বাঁচাতেও তিনি সচেষ্ট হন বলেও অভিযোগ করেন সিবিআই আধিকারিক।

[রাজধানীতে পিছোল বিজেপি বিরোধী রণকৌশল নির্ধারণ বৈঠক]

এরপরই আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রসঙ্গে। তাঁর অভিযোগ, হায়দরাবাদের কুখ্যাত গোমাংস রপ্তানিকারী মইন কুরেশীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সতীশ সানার দিকে অনেকদিন ধরেই নজর ছিল সিবিআইয়ের। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগও ছিল। এ হেন সতীশ সানাকে গ্রেপ্তার করেন মণীশ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতে মোটা টাকা ঘুষ নেন তৎকালীন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা। সরকারি আমলাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে নাকি জেরায় মেনেও নেন সতীশ সানা। এমনকী নিষ্কৃতি পেতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও ঘুষ দিয়েছেন বলে দাবি করেন সানা। মণীশ সিংহকে তিনি জানান, তদন্ত থেকে নিষ্কৃতি পেতে কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী হরিভাই পার্থীভাই চৌধুরিকে কয়েক কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছেন তিনি। গুজরাতের সাংসদ হরিভাই চৌধুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement