সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি, ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ এই অভিযোগে সরব হয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝিও৷ বিরোধীদের গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই একই অভিযোগের সুর৷ অভিযোগ-পালটা অভিযোগের মাঝেই আরও বিতর্ক উসকে দিলেন ছত্তিশগড়ের দুই মন্ত্রী৷ বাজপেয়ীর স্মরণসভাতে বসেই রীতিমতো হাসিঠাট্টা করতে দেখা গেল তাঁদের৷ সেই ভিডিওই আপাতত নেটদুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে৷
अस्थि कलश यात्रा के नाम पर इवेंट शुरू हो गया है। जरा छत्तीसगढ़ के शोक मग्न मंत्रियों के ठहाके देखिये, इनकी हंसी बता रही है ये कितने शोक में डूबे हुए हैं ?
Advertisement— Rajkumar Jaiswal (@Dr_Jaiswal_RK)
দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির এইমসে ভরতি ছিলেন বাজপেয়ী৷ মূত্রনালিতে সংক্রমণের জেরে প্রথমে হাসপাতালে ভরতি হন তিনি৷ তাঁর কিডনিও পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়৷ সংক্রমণ ছড়ায় পাকস্থলীতেও৷ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৬ আগস্টই থমকে যায় তাঁর জীবনযুদ্ধ৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইহলোক ছেড়ে পাড়ি দেন অমৃতলোকের পথে৷ এরপর তাঁর বাসভবন কৃষ্ণ মার্গে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ৷ সেখান থেকে পরদিনই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে৷ বিকেলে স্মৃতিস্থলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর৷ যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডের প্রত্যেকটি নদীতে ভাসানো হবে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম৷ শুধু উত্তরাখণ্ডেই নয় বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যেই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়৷ গত বুধবার ছত্তিশগড়ে পৌঁছায় বাজপেয়ীর অস্থিকলস৷ রাজ্যের প্রত্যেকটি নদীতে চিতাভস্ম ভাসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আয়োজন করা হয় স্মরণসভার৷ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং৷ সেই মঞ্চেই বসে ছিলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী ব্রিজমোহন আগরওয়াল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী অজয় চন্দ্রকার৷ এই স্মরণসভার ভিডিওই আপাতত নেটদুনিয়ায় ভাইরাল৷ ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, স্মরণসভার মঞ্চে বসেই একে অপরের হাত ধরে খিলখিলিয়ে হাসছেন দুই মন্ত্রী৷ হাসতে হাসতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী অজয় চন্দ্রকারকে টেবিল চাপড়াতেও দেখা গিয়েছে৷ এমন সময় পাশেই ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ধরমলাল কৌশিক৷ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হাত ধরে টেনে তিনি স্মরণসভায় বসে হাসিঠাট্টা করতে বারণ করেন তাঁদের৷
হাসিঠাট্টার ভিডিওকেই অস্ত্র করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা৷ প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ নীতিন ত্রিবেদী বলেন, ‘‘বাজপেয়ী জীবিত থাকাকালীন বিজেপি তাঁকে গুরুত্ব দেয়নি৷ মৃত্যুর পরেও তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে৷’’ তাঁর দাবি, বাজপেয়ীর মৃত্যু নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করছে, তার প্রমাণই হল স্মরণসভায় বসে দুই মন্ত্রীর হাসিঠাট্টা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.