অবশেষে মুক্তি পেলেন ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হাতে বন্দি কোবরা কমান্ডো

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি পেলেন ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হাতে বন্দি কোবরা কমান্ডো রাকেশ্বর সিং মিনহাস। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।

[আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় মন্দির চত্বরে প্রবেশ করায় যুবককে পিটিয়ে খুন উন্মত্ত জনতার]

CoBRA jawan Rakeshwar Singh Manhas kidnapped by Naxals during Bijapur attack on April 3, has been released by them: Police sources

আরও পড়ুন:

• সাতসকালে বোমাতঙ্ক উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনে, চিরুনিতল্লাশি পুলিশ-বম্ব স্কোয়াডের
• ‘ব্যর্থ হলেই ভারতকে দোষ দেওয়া পাকিস্তানের পুরনো রোগ’, আফগান সংঘাতের আবহে তোপ কেন্দ্রের

Advertisement

— ANI (@ANI)

আরও পড়ুন:

• মনোনয়ন জমার শেষদিনও ঘোষণা হল না রফা, বিহারে এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের
• বিহার SIR-এ বেছে বেছে মুসলিম নাম বাদ? কমিশন বলল, ‘প্রক্রিয়া নির্ভুল, মিথ্যাচার করেছে বিরোধীরা’

গত সোমবার স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছ থেকে জানা যায়, রাকেশ্বর নাকি মাওবাদীদের হেফাজতে রয়েছেন। মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমা নাকি নিজে ফোন করেছিলেন ওই সাংবাদিককে। তাঁর ছবি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোর প্রস্তাব দেয় মাওবাদীরা। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বন্দি জওয়ানের মেয়ের একটি ভিডিও। সেই ভিডিওয় কান্না ভেজা গলায় বছর পাঁচেকের ছোট্ট মেয়েটির আবেদন শোনা গিয়েছে, “আমার বাবা যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।” টিভি থেকে রাকেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীনা। রাকেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। এমনকী জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংকেও মীনা আবেদন করেছেন, দ্রুত তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।

উল্লেখ্য, শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বিজাপুর এবং সুকমার (Sukma) মাঝে জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ২৫-৩০ জন মাওবাদীও সংঘর্ষে মারা গিয়েছে। তবে সংঘর্ষের পর থেকে রাকেশ্বর নামে ওই জওয়ানের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রসঙ্গত, গত চার বছরে ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার ও সুকমা অঞ্চলে ক্রমাগত ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়িয়েছে কোবরা বাহিনী। ঘন জঙ্গলের ভিতরে প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ধীরে ধীরে নিজেদের দখলে নিয়েছে। মূলত বাহিনীর এই আগ্রাসনেই ওই এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল মাওবাদীরা।

[আরও পড়ুন: পরিযায়ী সমস্যা মেটাতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যোগী সরকারের প্রশংসায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়]