নন্দিতা রায়: বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক দুর্গামন্দির ভেঙে দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখে তাঁরা হতাশ।
এদিন এই বিষয়ে কথা বলার সময় রণধীর বলেন, ”আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলখেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে এবং মন্দির ধ্বংসের অনুমতি দেয়। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখে আমরা হতাশ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।”
হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে এদিন সকালে। মন্দিরের কাছেই মোতায়েন করা বিরাট পুলিশ বাহিনী ও সেনাকর্মীদের। পরে বুলডোজার এনে ভেঙে ফেলা হয় মন্দির। তার আগে ঘটনার আঁচ পেয়ে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরের সামনে বসে পড়ে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে বলপূর্বক সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ঢাকার এই মন্দিরটি অর্ধ শতকেরও বেশি পুরনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোও হত। পুজো হত নিয়মিত। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আর সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কী পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার। শেষপর্যন্ত সমস্ত আশঙ্কা সত্যি করে ভেঙে দেওয়া হল দুর্গামন্দির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.