সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধমক খেয়ে ‘আত্মসমর্পণ’ করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হয়। সম্প্রতি এই ভাষাতেই মোদিকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যদিও তাঁরই দলের নেতা শশী থারুরের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। বিদেশের মাটিতে অপারেশন সিঁদুরের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য শশীর বক্তব্য, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। সবটাই হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে আমেরিকার মধ্যস্থতার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি নিয়ে শশী থারুর বলেন, “ভারতকে (যুদ্ধ) থামাতে বলার প্রয়োজনই ছিল না। কারণ আমরা পাকিস্তানকে বলছিলাম যে ওরা থামলে আমরাও থামতে প্রস্তুত। তাই ওরা যদি পাকিস্তানিকে বলত যে তোমার থামালে ভালো হয়, কারণ ভারতীয়রা থামতে তৈরি এবং হাতেকলমে তাই করেওছিল।” পাকিস্তানের ভাষাতেই পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “যতক্ষণ না ওরা (পাকিস্তান) সন্ত্রাসবাদের ভাষা থেকে সরছে, ততক্ষণ পাকিস্তানিদের ভাষায় কথা বলতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। প্রয়োজনে আমরা বল প্রয়োগের মতো ভাষাও ব্যবহার করব। এর জন্য তৃতীয় পক্ষের কোনও প্রয়োজন নেই।”
মঙ্গলবার ভোপালে কংগ্রেসের ‘সংগঠন সৃজন অভিযান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, “বিজেপি এবং আরএসএস-কে আমি এখন ভালো করে চিনি। এদের উপর সামান্য চাপ দিলেই ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। যেমন ওদিক থেকে ট্রাম্প ইশারা করেছিলেন। ফোন তুলে বলেছিলেন, নরেন্দ্র আত্মসমর্পণ করুন। এর পরেই মোদি ট্রাম্পের ইশারা পালন করেন।” এর পরেই তিনি ইন্দিরা গান্ধী প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “১৯৭১ সালে কোনও ফোন আসেনি। যদিও মার্কিন অস্ত্র এসেছিল। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী লড়াই চালিয়ে যান। কংগ্রেস কখনও আত্মসমর্পণ করেনি। গান্ধীজি, জওহরলাল নেহরু, সর্দার পাটেল, তাঁরা আত্মসমর্পণ করার লোক নয়। সুপার পাওয়ার দিয়ে লড়ে যাওয়ার লোক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.