সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিজেপির সুরে সুর শশী থারুরের। এবার যেন নরেন্দ্র মোদির থেকে শব্দ ধার করে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লেখা সম্পাদকীয়তে শশী বোঝালেন, ১৯৭৫-এ কীভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে বিরোধীদের দমন, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করাটা দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এ বছর জরুরি অবস্থার স্মৃতি উসকে দেশজুড়ে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থাকে গণতন্ত্রের ইতিহাসে ‘দেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সেই সুরে সুর মিলিয়ে শশী প্রোজেক্ট সিন্ডিকেট নামের সংবাদমাধ্যমে লেখেন, জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী মানসিকতা আমজনতার জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছিল। আজকের ভারত অন্তত ১৯৭৫-এর ভারতের মতো নয়।” কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, “ইন্দিরার সময় গণতন্ত্রের সব স্তম্ভকে মৌন করে রাখা হয়েছিল। বিচার বহির্ভূত হত্যা আকছার ঘটত।”
শশী যে সময় জরুরি অবস্থার নিন্দা করে এই সম্পাদকীয় লিখলেন সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা শশী থারুর। মার্কিন মুলুকে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শশী এআইসিসি সদস্য। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন লড়েছিলেন। এ হেন নেতা লাগাতার প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের উলটো পথে গিয়ে মোদি সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। তবে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ এতদিন প্রকাশ্যে সেই মতবিরোধের কথা স্বীকার করতেন না। তাঁর দাবি ছিল, তিনি অপারেশন সিঁদুরের মতো ইস্যুতে সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছেন শুধু ভারতের নাগরিক হিসাবে, কংগ্রেস নেতা হিসাবে নয়।
কিন্তু এবার একপ্রকার প্রকাশ্যেই শশী দল বিরোধী কথা বার্তা বলা শুরু করলেন। শশীর এই মন্তব্য পুরোপুরিই বিজেপির সুরে। এই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের দরজা শশীর জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবার সম্ভবত তাঁর বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.