Advertisement
Advertisement
Infiltration

‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ কমেছে’, বিদেশমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বললেন শশী থারুর

কমিটির হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশ হ্রাসের তত্ত্ব প্রমাণিত।

Infiltration from Bangladesh goes down in recent days, says Shashi Tharoor after parliamentary committee meeting on Friday

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 27, 2025 10:05 pm
  • Updated:June 27, 2025 10:23 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশের হার কমেছে। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনায় রীতিমতো তথ্য-পরিসংখ্যান উঠে এল। এদিন বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কমিটিতে জমা পড়া একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই তথ্য বেশ স্বস্তিরও বটে।

শুক্রবার বাংলাদেশের সঙ্গে এদেশের সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি। বিশেষজ্ঞদের তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন, বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের প্রাক্তন হাই কমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সইদ আটা হাসনাইন এবং বিখ্যাত শিক্ষাবিদ অমিতাভ মাট্টু। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিদেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানান, খুবই ভালো পরামর্শ এবং মতামত দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে থারুরের দাবি, কমিটির হাতে আসা তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে এই সংখ্যাটা কমেছে। সে দেশের বর্তমান ইউনুস সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সুসম্পর্কে খানিকটা টানাপোড়েন রয়েছে এই মুহূর্তে। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও তুলেছেন স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য। তার জবাবে বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশেষ উদ্বেগের কিছু নেই। বাংলাদেশের মৌলবাদীদের দাপট আর যাই হোক, পাকিস্তানের মতো নয়। সেখানকার সেনাবাহিনীও তত উগ্র নয়।

এছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চিনের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। তবে সবকিছুর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের বিষয়টি। বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বোচ্চ সীমান্ত এলাকা রয়েছে পশ্চিমবাংলার। সেই কারণে কেন্দ্র বারবার দাবি করে যে ওদিক দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটে। সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে বহু বাংলাদেশি বাংলায় আশ্রয় নেন। তবে শুক্রবারের বৈঠকে তথ্যের ভিত্তিতে তা খারিজ হয়ে গেল। কারণ, সামগ্রিকভাবেই অনুপ্রবেশ কমেছে বলে তথ্য রয়েছে বিদেশমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির হাতেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement