সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাপের (App) মাধ্যমে ঋণ (Loan) দেওয়ার টোপ। অনেক বেশি সুদ-সহ টাকা ফেরত নেওয়ার পর আরও টাকা চেয়ে লাগাতার হুমকি। অবশেষে পুলিশের জালে হায়দরাবাদের (Hyderabad) চার প্রতারক। ধৃতদের মধ্যে একজন চিনা (China) নাগরিকও রয়েছে। ওই সংস্থার মালিক মূল অভিযুক্তও একজন চিনা নাগরিক। নাম জিজিয়া ঝ্যাং। সে ও তার সহযোগী উমাপতি পলাতক।
কীভাবে কাজ করত ওই গ্যাং? পুলিশ জানাচ্ছে, একটি নয়, এগারোটি ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ তৈরি করে প্লে-স্টোরে সেটি তুলে দিয়েছিল অভিযুক্ত জিজিয়া। সেগুলির মাধ্যমেই ঋণ দেওয়া হত। হ্যাপি ক্যাশ, লোন কার্ড, মিন্ট ক্যাশ, রিপে ওয়ান, মানি বক্স, মাঙ্কি বক্স ইত্যাদি নামের ওই সব অ্যাপের সাহায্যেই ফাঁদ পাতত ওই প্রতারণা চক্র। একবার পা দিলেই সর্বনাশ।
ক্রমশ জমা পড়ছিল অভিযোগ। একে একে আটটি মামলা রুজু হয়। এর মধ্যেই এক ব্যক্তি গত ১৭ ডিসেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নিজের দুর্ভোগের কথা সবিস্তারে জানান তিনি। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। কিন্তু চড়া সুদ-সহ ২ লক্ষ টাকা শোধ করতে হয় তাঁকে। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে আসতে থাকে ফোন। রীতিমতো গালাগালি ও হুমকি দেওয়া হয় আরও টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। এমনকী, ভুয়ো আইনি নোটিস পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হতে থাকে। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার ‘কুবেভো টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের এক কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের অন্যতম চিনা নাগরিক ওয়াই বাই ওরফে ডেনিস। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মিলেছে নগদ ২ কোটি টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থার প্রধান দপ্তর হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল ‘স্কাইলাইন ইনোভেশনস টেকনোলজিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’-কে। যা দিল্লিতে অবস্থিত। আপাতত উমাপতি ও জিজিয়া ঝ্যাংকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.