সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের (Meghalay Honeymoon Murder Case) পরিকল্পনা করেছিলেন তিনিই, বুধবার প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় স্বীকার করেন মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী! মঙ্গলসূত্র আর পায়ের আংটি, বিবাহবন্ধনের এই দুই চিহ্ন পুলিশের হাতে আসতেই বিপদে পড়েন ২৪ বছরের তরুণী। পুলিশের সন্দেহের আবর্তে আসেন তিনি। কীভাবে জটিল তদন্তের জাল গুটিয়ে আনলেন তদন্তকারীরা?
রঘুবংশী দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পরে একটি হোমস্টে থেকে তাঁদের অন্যান্য মালপত্রের সঙ্গে সোনমের মঙ্গলসূত্র ও পায়ের আঙুলের আংটি পায় পুলিশ। সাধারণত হিন্দু বলয়ে বিবাহিতা মহিলারা সঙ্গলসূত্র ও পায়ের আঙুলের আংটিকে বৈবাহিক সম্পর্কের প্রতীক মনে করেন। যা হোমস্টেতেই খুলে রেখেছিলেন সোনম। এতেই সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। প্রশ্ন ওঠে, তাহলি কি মঙ্গলসূত্র ও পায়ের আঙুলের আংটি পরে স্বামী রাজাকে খুন করতে চায়নি তরুণী? তাছাড়া খুনের পরেই রাজের কাছে চলে যান সোনম, হতে পারে সেই কারণেই তাঁর কাছে মঙ্গলসূত্র ও আংটির গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে রাজকে শিলং পাহাড়ের গভীর খাদে ফেলে দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাজানোর ছক কষেছিলেন রাজ ও সোনম। কিন্তু রাজা নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন, তাঁকে দু’জনে মিলে কাবু করতে পারবেন না ভেবেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুনের দ্বিতীয় পরিকল্পনা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত করা হয়। এদিকে সোনমের স্বীকারক্তির পর দাদা গোবিন্দ রঘুবংশী নৃশংস অপরাধের জন্য বোনের ফাঁসির সাজার দাবি করলেন। বুধবার তিনি বলেন, আমিও সোনমের ফাঁসি চাই। আমি নিজে রাজার তরফের আইনজীবীর সঙ্গে থাকব। সোনম আমায় ওরাজ কুশওয়াহকে বাড়িতে একসঙ্গে রাখী পরিয়েছিল। কিন্তু ভিতরে তাদের এমন সম্পর্ক! ভাবতে পারছি না।” গোবিন্দ বুধবার রাজার মায়ের মা ধরে ক্ষমাও চান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.