Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী শ্রমিক

ফের ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ, রেলের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির ঘটনা।

Migrants worker body found in train toilet in Uttar Pradesh

অঙ্কন: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 29, 2020 2:09 pm
  • Updated:May 29, 2020 2:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধান। ফের ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের মরদেহ। ট্রেনের জীবাণুনাশের কাজে নেমে শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করেন রেলের সাফাই কর্মীরা। মৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি (Jhansi) রেল স্টেশনে ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ! বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনের জীবাণুনাশের কাজে গেলে শ্রমিকের নিথর দেহ নজরে পড়ে রেলের সাফাই কর্মীদের। তৎখনাত তাঁরা স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন। ঘটনার তদন্তে নেমে রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, মৃত ব্যক্তির নাম মোহনলাল শর্মা (Mohan lal Sharma) । তিনি মুম্বইতে দিন মজুরের কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের মত কাজ হারিয়ে তিনিও বেকারত্বের কবলে পড়েন। এরপরই বাড়ি ফিরতে চান। ২৩ মে মোহন লাল বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে ঝাঁসি পৌঁছন। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের গোরক্ষপুর স্টেশনে পাঠানো হয়। মোহন লাল উত্তরপ্রদেশের বস্তি (Basti) জেলার বাসিন্দা বলেও খবর মেলে। ময়নাতদন্তে নেমে ঝাঁসির পুলিশ জানান, “বেশ কয়েকদিন আগেই মারা যান মোহন লাল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাঁর পরিবারের হাতে ব্যক্তির দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা জানা প্রয়োজন। গত দু’মাসে ২০ লক্ষ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশে ফিরেছেন। আরও কয়েক লক্ষ আগামী কিছু দিনের মধ্যেই ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন:সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় বন্ধ দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্ত, বিক্ষোভে শামিল শতাধিক শ্রমিক]

মোহনলালের আত্মীয় কানহাইয়া লাল শর্মা জানান, “ঝাঁসি পুলিশ গ্রামের মুখিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি মোহনলালের সঙ্গে ২৮ হাজার টাকা ছিল। সেই সঙ্গে সাবান ও কিছু বইও ছিল। কাজ না থাকায় বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিলেন তিন‌ি। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই আমাদের ওঁর দেহ নিয়ে নিয়ে আসার অনুমতি দেবেন বলে জানায়।” তবে মুম্বই থেকে রওনা দেওয়ার পর মোহন লালের আসা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বিহারে গিয়েছিল কিনা বা গোরক্ষপুর পৌঁছেছিল কিনা সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার ট্রেন ঝাঁসি পৌঁছয়। এরপরই রেলকর্মীরা শ্রমিকের নিথর দেহ দেখে চমকে ওঠেন।

[আরও পড়ুন:এবার রাজ্যসভায় করোনার থাবা, সিল করা হল অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের দু’টি তলা]

তবে কীভাবে মোহন লাল মারা যান তা জানা যায়নি। আদপে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তাও জানা সম্ভব হয়নি। লকডাউনের পর থেকে বার বার উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র। তবে ট্রেনের শৌচাগার থেকে শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হওয়ায়। রেলের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement