Advertisement
Advertisement

Breaking News

নৃশংস! ৮ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর ধারাল অস্ত্রের কোপ

লজ্জা!

Minor abducted, raped in MP's Mandsaur

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 28, 2018 1:44 pm
  • Updated:June 28, 2018 1:44 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  স্কুল থেকে অপহরণ করে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ। নারকীয় অত্যাচারের পরও  শান্তি হয়নি ধর্ষকের। নির্যাতিতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। স্কুলে গেলেও মঙ্গলবার বাড়িতে ফেরেনি ওই নাবালিকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওইদিন বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। বুধবার জঙ্গল এলাকা থেকে রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে  হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এই খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। দোষীর শাস্তির দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজিত জনতা পরে নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মান্দাসোর এলাকায়।

Advertisement

[ফের রাজধানীতে ধর্ষিতা বিদেশিনী, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]

অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পর কোনও কিছুর লোভ দেখিয়ে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ওই শিশুকন্যাকে অপহরণ করে। তারপর শহরের একটি নির্জন জায়গায় সারাদিন ধরে আটকে রেখে চলে শারীরিক নির্যাতন। বুধবার  লক্ষণ দরওয়াজার কাছে রক্তাক্ত শিশুকন্যাকে দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মান্দাসোর থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার হাফিজ কলোনির স্কুলের পড়ুয়া ওই শিশুকন্যা। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও সে স্কুলে গিয়েছিল। প্রতিদিনের মতোই বাড়ির এক সদস্য তাকে আনতে যান। তখনই জানতে পারেন এক ‘কাকু’র সঙ্গে সে বাড়ি চলে গিয়েছে। বাড়িতে ফোন করে শিশুটির খবর না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় খোঁজখবর। শেষে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। পরদিন ধর্ষিতা নির্যাতিতা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় শহর লাগোয়া জঙ্গল এলাকা থেকে।  পুলিশ এসে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকন্যা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, কোনওকিছুর লোভ দেখিয়েই শিশুটিকে অপহরণ করে অভিযুক্ত। তারপর নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য অন্য জায়গায় ফেলে যায়। স্থানীয় জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে হার মানে পুলিশ। স্কুল লাগোয়া এলাকার যাবতীয় নজরদারি ক্যামেরার ছবি দেখা হয়। তাতেই একজনের সঙ্গে শিশুটিকে যেতে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকার এক কুলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছে রক্তমাখা জামাও উদ্ধার হয়েছে।

[স্ত্রী-সন্তানের মৃ্ত্যুভয় দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার চার জ্যোতিষী]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস