সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইল চার্জে দেওয়া অবস্থায় ফোনে কথা বলতে বা হেড ফোনে গান শুনতে বারবার নিষেধ করে মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। কিন্তু সদাব্যস্ত নয়া প্রজন্ম সে সব সতর্কতা বিশেষ কানে তোলে না। আর তাতেই বিপদ ঘটে। এমনই ঘটনা ঘটল ওড়িশার ১৯ বছরের যুবতীর সঙ্গে। স্মার্টফোন বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন উমা ওরাম।
নোকিয়ার ৫২৩৩ মডেলের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতেন তিনি ওড়িশার খেরিয়াকানি জেলার ওই যুবতী। চার্জে দিয়েই মোবাইল কানে কথা বলছিলেন তিনি। আর তখনই বিস্ফোরণে ফেটে যায় ফোনটি। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে সেখানেই জ্ঞান হারান তিনি। তাঁর মুখ, বুক ও পায়ের অনেকখানি অংশ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারেননি ওই যুবতীকে। মৃতার ভাই দুর্গাপ্রসাদ ওরাম জানান, মোবাইলে একেবারেই চার্জ ছিল না। সেই কারণেই চার্জে বসিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন উমা। ফোনে কথা শুরুর দু-তিন সেকেন্ডের মধ্যেই আচমকা ঘটে বিস্ফোরণ। অচেতন হয়ে মাটিতে লুকিয়ে পড়েন উমা। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সব শেষ।
নোকিয়া ৫২৩৩ মডেলটি বেশ পুরনো। সংস্থার তরফে অনেকদিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিমবিয়ান ওএস-এর এই মডেলটি আর প্রস্তুত করা হয় না। ২০১৪ সালে হাত বদল হয়ে নোকিয়ার ফোন প্রস্তুতির দায়িত্ব নেয় মাইক্রোসফট। তবে সেসব ফোন বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি। বর্তমানে HMD গ্লোবাল কোম্পানি এখন নোকিয়ার নতুন মডেলের অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনগুলি বিক্রি করে। সেই সংস্থা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পুরনো কোনও মডেল বিস্ফোরণে তাদের কোনও দায় নেই। তবে শুধু নোকিয়া নয়, এর আগে স্যামসং, আইফোনের মতো কোম্পানির মোবাইলের ব্যাটারি ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। অনেক সময় নকল চার্জার ব্যবহারেও দুর্ঘটনা ঘটে। তাই মোবাইল যে সংস্থারই হোক না কেন, আগে ব্যবহারকারীকেই সতর্ক হতে হবে। কারণ মানুষের জীবনে বিপদ বলে-কয়ে আসে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.