সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ৭ বছরের পুরনো মানহানি মামলায় অবশেষে স্বস্তি পেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসার এমপি-এমএলএ আদালত কংগ্রেস সাংসদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। জামিন পেতে এদিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
ঝাড়খণ্ডে এক জনসভায় অমিত শাহের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন প্রতাপ কুমার নামে এক ব্যক্তি। এই মামলায় একাধিকবার রাহুলকে সমন পাঠানো হলেও হাজির হননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাহুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর পালটা হাই কোর্টে আবেদন জানান রাহুল। ১৪ মার্চ মামলার শুনানিতে রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ১০ জুন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ৬ আগস্ট পর্যন্ত এই মামলায় রাহুলের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। শর্ত দেওয়া হয় রাহুলকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। সেইমতো বুধবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা আদালতে হাজির হন রাহুল গান্ধী। এরপর রাহুলের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়।
রাহুলের জামিনের পর তাঁর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার চাইবাসা এমপি-এমএলএ আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল। বিচারকের কাছে তিনি জামিনের আবেদন জানান। তাঁর সে আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কংগ্রেসের এক জনসভায় শাহের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। শাহকে একজন ‘খুনের অপরাধী’ বলে অভিযোগ করে রাহুল বলেন, কংগ্রেস দলে কোনও হত্যাকারী কখনও সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসতে পারেন না। এই ঘটনা শুধুমাত্র বিজেপিতেই দেখা যায়। রাহুলের সেই মন্তব্যের জেরে আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন প্রতাপ কুমার নামে এক জনৈক ব্যক্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.