মুখতার আনসারির পুত্র আব্বাস আনসারি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘৃণাভাষণ মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ড হল গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির পুত্র বিধায়ক আব্বাস আনসারির। ২০২২ সালের এক মামলায় শনিবার আব্বাসকে এই সাজা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক আদালত। অনুমান করা হচ্ছে, আদালতের এই রায়ের জেরে বিধায়ক পদ খোয়াতে পারেন মউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আব্বাস।
এই মামলার সূত্রপাত ২০২২ সালে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মউ জেলায় এক রাজনৈতিক সভায় সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আব্বাস। সেখানে রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেন, “আমি অখিলেশ যাদবকে বলেছি, আগামী ৬ মাস কোনও বদলি বা পোস্টিং হবে না। প্রথমে তারা তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। তারপর বদলির শংসাপত্রে স্ট্যাম্প লাগানো হবে।” এই ঘটনায় ২০২২ সালে অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। গত ৩ বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর আদালত জানিয়েছে, যে মন্তব্য বিধায়ক করেছিলেন অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন ও ঘৃণাভাষণ। আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এদিন তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যার জেরে নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদ বা বিধায়কের যদি ২ বছরের কারাদণ্ড হয় তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায় সেই পদ। শীঘ্রই এই বিষয়ে বিধানসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু আব্বাস নয়, অন্য একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে মুখতার আনসারির আর এক পুত্র মনসর আনসারির।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির চির বিতর্কিত মুখ গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি। উত্তরপ্রদেশের মউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে গাজিপুরের বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই সহ ৭ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুখতারের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ১০ বছরের কারাবাস হয় তাঁর। পাশাপাশি অস্ত্রের ভুয়ো শংসাপত্র মামলায় মাফিয়া রাজনীতিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরও সাজা শোনায় আদালত। অন্তত ৬০টি মামলা চলছিল এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে। মামলা চলাকালীনই মার্চ মাসে জেলে মৃত্যু হয় মুখতারের। অভিযোগ ওঠে জেলে নাকি ‘স্লো পয়জান’ করে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.