সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বউয়ের জ্বালায় সংসার অসহ্য। কারণে অকারণে প্রতিদিন অশান্তি ও মারধোর করেন সহধর্মিণী। এমনই অভিযোগ তুলে ‘দজ্জাল’ স্ত্রীর হাত থেকে মুক্তি পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি জানালেন উত্তরপ্রদেশের এক যুবক। স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে ব্যানার হাতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে কার্যত ধরনায় বসতে দেখা গেল সুমিত সোনি নামে ওই যুবককে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের। গত বছরের জুলাই মাসে জনপদের কুকড়া গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কিকে বিয়ে করেছিলেন সুমিত। যুবকের অভিযোগ, বিয়ের দ্বিতীয় দিনই পিঙ্কি তাঁকে জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় করেনি। জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন। এরপর থেকে বাড়িতে দিনরাত অশান্তি করে চলেছেন। এমনকী প্রায় প্রতিদিন তাঁকে মারধোর করে তাঁর স্ত্রী। একবার গলা টিপে খুনের চেষ্টাও করা হয়। সুমিত আরও বলেন, গত ৬ মাস ধরে পিঙ্কি তাঁর বাপের বাড়িতে রয়েছে। সেখান থেকেও ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, ভাড়াটে গুন্ডা পাঠিয়ে মারধোরও করা হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান ওই যুবক।
সোমবার জেলাশাসকের অফিসের বাইরে হাতে পোস্টার নিয়ে ধরনায় বসতে দেখা যায় সুমিতকে। পিঙ্কির ছবি-সহ সেই পোস্টারে লেখা মাননীয়া রাষ্ট্রপতি মহোদয়া, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আমি আর্থিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল একজন ব্যক্তি। আমার স্ত্রী পিঙ্কির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আপনাদের কাছে আমার আবেদন, আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক।’ পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ”বিয়ের দ্বিতীয় দিনই পিঙ্কি আমায় জানায়, তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে এই বিয়ে মানে না। বিয়ের একমাস পর থেকে ঝগড়া ও মারামারি চরম পর্যায়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিয়ের সময় পিঙ্কির বয়স লুকিয়ে বিয়ে দেয় তার বাড়ির লোক। আমার বয়স ২৭ বছর অথচ ও ৩৫ বছর বয়সি। এই অশান্তি মারামারি থেকে মুক্তি পেতে আমি চাই সরকার আমায় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক।”
শুধু তাই নয় সুমিত আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে তাঁর স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির লোকদের উপরও নির্যাতন চালাতেন। যার জেরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকেও সুমিতকে বঞ্চিত করেন তাঁর বাবা। এই অবস্থায় ওই সম্পত্তি আদায় করতে তাঁর উপর চাপ দেন পিঙ্কি। এমনকী তাঁর বন্ধুদের দিয়ে মারধোরের হুমকি দেন। বিয়ের সময় সুমিতের বাবা সুমিতের ভাগের ৮ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। সেখান থেকে ৫ লক্ষ বিয়েতে খরচ হয়, বাকি ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান পিঙ্কি। তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গেলে সুমিতকে মারধোর করা হয়। আদালতে মামলা দায়ের করলে পালটা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ সুমিতের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.