ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জাতীয় স্বার্থে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা আনুগত্যহীন হিসেবে দেখা হয়।’ বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। বস্তুত, কোচিতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে থারুর বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত হোক বা অন্যভাবে হোক, যে কোনও গণতন্ত্রে রাজনীতি হল প্রতিযোগিতা। আর ফলস্বরূপ, যখন আমার মতো মানুষ বলে যে আমরা আমাদের দলগুলোকে সম্মান করি… কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অন্যান্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করা প্রয়োজন… কখনও কখনও দলগুলি মনে করে যে এটি তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতক এবং আনুগত্যহীন। এবং এটিই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।’
এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থান নেওয়ায় কংগ্রেসের অন্দরে শশী থারুরকে ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে। রবিবার কেরলের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না থারুর তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করছেন, ততদিন তিরুবনন্তপুরমে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। তাঁর কথায়, “উনি এখন আর আমাদের একজন নন।” শনিবারই কেরলের কোচিতে এক অনুষ্ঠানে থারুর বলেন, “দেশ আগে, দল পরে। যে দলই হোক না কেন, তার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দেশের উন্নয়ন। অনেকে আমাকে কড়া সমালোচনা করেছেন, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমি ঠিক কাজটাই করছি। আমার প্রথম দায়বদ্ধতা দেশের প্রতি।”
মুরলীধরন অবশ্য বলছেন, “যিনি আমাদের সঙ্গে নেই, তাঁকে বয়কট করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমরা তাঁকে ডাকব না। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই বিতর্কের পেছনে রয়েছে থারুরের সাম্প্রতিক একটি প্রবন্ধ, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক কার্যকলাপে ‘উদ্যম ও গতিশীলতা’র প্রশংসা করেন। সেটি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে শেয়ার হওয়ার পর, কংগ্রেসের অন্দরে তাঁর অবস্থান নিয়ে জল্পনা আরও জোরদার হয়। তবে থারুর স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমি রাজনীতিতে এসেছি দেশের সেবা করতে। আমি বরাবর বিশ্বাস করি, সংকটের সময়ে সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে কাজ করা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.