সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে অমানবিকভাবে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সদ্যই। তারপর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে বিভিন্ন মহল। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ()। নিন্দনীয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টুইটে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। মন্ত্রী টুইটে লেখেন, “এই ঘটনার তদন্ত হবে। প্রত্যেক দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে। আনারসের মধ্যে বাজি ভরে টোপ দিয়ে হাতিকে নির্মমভাবে হত্যা করা ভারতের সংস্কৃতি নয়।”
Central Government has taken a very serious note of the killing of an elephant in Mallapuram, . We will not leave any stone unturned to investigate properly and nab the culprit(s). This is not an Indian culture to feed fire crackers and kill.
Advertisement— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar)
সদ্যই কেরলের মালাপ্পুরমে গর্ভবতী হাতিকে ‘খুনের’ ঘটনা সামনে আসে। অপরাধ বলতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল সে। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। কিন্তু গ্রামে হাতিকে ঘুরতে দেখেই সকলে ভেবে ফেলেছিল হাতিটি নির্ঘাত কোনও ক্ষতি করবে। হয় ভাঙবে কাঁচাবাড়ি আর না হলে দাপিয়ে বেড়াবে ফসল ভরা মাঠে। আবার কেউ ভেবেছিল কারও প্রাণহানির কারণও হতে পারে সে। কিন্তু অবলা প্রাণীটির এমন কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। তার চোখ শুধুই একটু খাবারের সন্ধান করছিল।
খাবার খেয়ে নিজের এবং তার গর্ভস্থ সন্তানের পেটের জ্বালা মেটাতে চেয়েছিল সে। ভাবতেও পারেনি সেই জ্বালা মেটাতে গেলে প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই তো বাজি এবং বারুদে ঠাসা আনারস খেয়ে নেয়। খাওয়ার পর থেকে শরীরের ভিতর অদ্ভূত জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়। অবলা প্রাণী নিজের কষ্টের কথা কাউকে জানাতে পারেনি। শুধু পথের পর পথ হেঁটে কষ্ট সহ্য করে গিয়েছে। তারপর একটি নদীতে নেমে যায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি। জলের মধ্যে শুঁড় ডুবিয়ে বসে কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করছিল। কাজের কাজ হয়নি। সেভাবেই কখন যে সে প্রাণ হারিয়েছে জানতে পারেনি কেউই। কেরলের বনবিভাগের আধিকারিক মোহন কৃষ্ণণ হাতির এমন দুঃখজনক মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। ওই পোস্টটি নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। পশুপ্রেমীরা এই ধরনের ঘটনার নিন্দায় সরব। এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক হাতির মৃত্যুর খবর সামনে আসে। পাঠানাপুরম জঙ্গলের কাছে একটি ঝরণার পাশ থেকে গত এপ্রিলে অসুস্থ অবস্থায় স্ত্রী হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তার চোয়াল ভাঙা ছিল। উদ্ধারের পর ওষুধপত্রও দেওয়া হয় হাতিটিকে। তবে তাতেও কাজ হয়নি। কিছুটা পথ আপন মনে হেঁটে যায় সে। তবে পরেরদিনই মারা যায় ওই হাতিটি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এসেছে বনকর্মীদের। তাতেও চোয়াল ভাঙার কথা উল্লেখ রয়েছে। বনকর্মীদের অনুমান, এই হাতিটির মৃত্যুর পিছনেও হয়তো বাজি বিস্ফোরণের মতো অমানবিক আচরণ লুকিয়ে রয়েছে। তাকে বিষ খাওয়ানোও হতে পারে বলে আশঙ্কা বনকর্মীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.