Advertisement
Advertisement

Breaking News

Delhi

‘সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল’, প্রেমিকাকে ২০ বার কুপিয়ে খুন করেও অনুতাপহীন ধৃত সাহিল! 

মোবাইলই ধরিয়ে দিল দিল্লির নৃশংস হত্যায় অভিযুক্তকে।

Now Delhi Teen's Killer Boyfriend Says "No Regrets, She Ignored Me" | Sangbad Pratdin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 30, 2023 1:29 pm
  • Updated:May 30, 2023 1:40 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার দিল্লির (Delhi) রাস্তায় প্রকাশ্যে কিশোরী প্রেমিকাকে কুপিয়ে এবং পাথরের চাঁই দিয়ে মাথা থেতলে খুন করেছেন প্রেমিক সাহিল। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুন্দেলশহর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খুনের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সাহিল। প্রেমিকাকে নৃশংস হত্যায় অনুতপ্ত নন তিনি। কিশোরী তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাওয়াতেই রাগের বশে এই কাজ করেছেন।

Advertisement

গতকাল পুলিশ জানিয়েছিল, নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাহিলের। শনিবার দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় বন্ধুর ছেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। মাঝপথে রাস্তা আটকায় সাহিল। এরপরই কিশোরীকে দেওয়ালে ঠেসে ধরে এলোপাথারি কোপায় সে। ধারালো ছুড়ি দিয়ে ২০ বার কোপ মারে। পাথরের চাঁই দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। দিল্লির রোহিনী এলাকায় ভিড় রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে জনতার সামনেই। যদিও কেউ হামলাকারীকে আটকায়নি।

[আরও পড়ুন: বায়রনের দলবদল: বিজেপির হাত শক্ত করছে! নাম না করে তৃণমূলকে তোপ কংগ্রেসের]

সাহিলকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২১ সাল থেকে কিশোরী প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। সম্প্রতি সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায় নাবালিকা। এতে সাহিলের সন্দেহ হয়, পুরনো প্রেমিকার কাছে ফিরে গিয়েছে প্রেমিকা। উল্লেখ্য, কিশোরীর হাতে ‘প্রবীণ’ লেখা উল্কি পাওয়া গিয়েছে। সাহিলের দাবি, তাঁকে হুমকি দিয়েছিল কিশোরী। বলেছিল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশকে জানাবে। এমনকী নকল পিস্তল হাতে ভয় দেখিয়েছিল।

[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন ঘিরে পওয়ার বনাম পওয়ার! শিব সেনার মতোই কি ভাঙন এনসিপি-তে?]

তদন্তকারীদের দাবি, কিশোরী সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাওয়াতেই রবিবার মেজাজ হারায় সাহিল। এবং পরিকল্পনা মাফিক রাস্তা আটকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরে মোট ৩৪টি ক্ষতচিহ্ন ছিল। ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত কিশোরীর দেহ রাস্তার ধারে অন্তত ২৫ মিনিট পড়ে ছিল। তার পর পুলিশ ডাকা হয়। এদিকে খুনের পর গা-ঢাকা দিতে মোবাইল বন্ধ করে বাসে উঠে পড়েছিলেন সাহিল। পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বন্দেলশহরে। যদিও ওই মোবাইল ফোনই তাঁকে ধরিয়ে দেয়। বুন্দেলশহরের এক আত্মীয়র বাড়িতে উঠেছিলেন সাহিল। সেখান থেকে বাবাকে ফোন করার জন্য কিছুক্ষণের জন্য ফোন খুলেছিলেন, তাতেই ধরা পড়ে যান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ