Advertisement
Advertisement
Bihar

‘অপারেশন ল্যাংড়া’, অপরাধীদের বাগে আনতে অভিনব কৌশল বিহার পুলিশের

পুলিশের 'দাবাং' স্টাইলে ব্যাকফুটে অপরাধীরা।

Operation Langda Patna Cops' New Crackdown Puts Criminals On Back Foot
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 19, 2025 4:51 pm
  • Updated:August 19, 2025 4:56 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণে নয়, অপরাধীর পায়ে মারার নয়া ‘মাস্টার প্ল্যান’ বিহার পুলিশের! বিহারের রাজধানী পাটনাকে অপরাধমুক্ত করতে এমনই অভিনব পন্থা নিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। যার জেরে গত তিন মাসে পাটনার দুষ্কৃতীরা বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে গিয়েছে। কিন্তু ‘অপারেশন ল্যাড়া’ ব্যাপারটা কী? বিষয়টা আর কিছুই নয়, মুখোমুখি সংঘর্ষের সময় অপরাধীকে প্রাণে না মেরে সোজা পায়ে গুলি করে তাকে অকেজো করে দেওয়ার কৌশল। বিহারবাসীর একাংশ পুলিশের এই নয়া নীতিকে ‘অপারেশন ল্যাংড়া’ আখ্যা দিয়েছেন।

Advertisement

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩ মাসে মোট নয়জন অপরাধী ধরা পড়েছে বিহার পুলিশের হাতে। প্রতিটি ঘটনায় প্রায় একই ধাঁচে ঘটছে। যখনই অপরাধীরা পুলিশের দলের উপর গুলি চালায় বা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, তখনই পুলিশ পালটা জবাব দেয়। প্রাণঘাতী হামলার বদলে পুলিশকর্তারা অপরাধীদের পায়ে গুলি চালান। প্রাণে মারার বদলে এই কৌশলকে হিসাবি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক কালে একাধিক অভিযানে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে বড় সাফল্য পেয়েছে পাটনা পুলিশ। ১৭ আগস্ট, আলমগঞ্জের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অপরাধী বিজয় সাহনির। পালটা গুলিতে আহত হয় সে। স্বাধীনতা দিবসের দিন, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান করে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করলে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত অপরাধী দিব্যাংশু ওরফে অংশুর পায়ে গুলি করেই আটক করা হয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে একই কায়দায় কাবু করা হয়। এমনকী হাই প্রোফাইল অপরাধীদের মধ্যেও কয়েকজন ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বলবন্ত ও রবিরঞ্জন—যারা ১৭ জুলাই পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের ২২ জুলাই গুলিবিদ্ধ করে আটক করা হয়।

গ্যাংস্টার রাজা জেপিকে ২৫ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর চেষ্টার সময় সে পুলিশকে আহত করে। জুন মাসে আরও তিন অপরাধীকে দমন করা হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে দানাপুরের জিতেন্দ্র হত্যা মামলার অভিযুক্ত ইশু ওরফে ঋষু এবং বিবেক কুমার। ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল বিবেকের জন্য। সবমিলিয়ে পুলিশের এই তৎপরতায় সাধারণ মানুষ যথেষ্ট খুশি।

অপরাধীদের প্রতি পুলিশের কঠোর মনোভাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিহার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বিনয় কুমার। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। যদি কেউ কোনও অপরাধ করে অথবা আধিকারিককে হামলা করে, তবে পুলিশ পদক্ষেপ নেবে। আমাদের সকলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কোনও আইনভঙ্গকারীকে বরদাস্ত করা হবে না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ