সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহাধুমধাম, অতঃপরে…! চরম অব্যবস্থা। যার দরুন নির্ধারিত সময়ে মাসির বাড়িতে পৌছতেই পারলেন না জগন্নাথদেব। সরকার বলছে সব রীতি পালন করা হয়েছে। সময় মতো জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ যাত্রার উদ্দেশে বেরিয়েও যায়, কিন্তু সময়মতো গন্তব্যে পৌছয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই অব্যবস্থার কারণ কী? এর জন্য দায়ী কারা? বিরোধীরা আঙুল তুলছে শাসক বিজেপির দিকে। বিজেপি বলছে, অপ্রত্যাশিত ভিড়ই কারণ।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েকের বক্তব্য, “আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু কালকের ঘটনায় উদ্বেগ এবং বিরক্তি প্রকাশ না করে উপায় নেই। রাজ্যের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব নিয়ে এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। গত বছর কীভাবে পাহান্ডির সময় বলরামের মূর্তি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটল সেটাও ভোলার নয়।” পটনায়েকের অভিযোগ, “এই অব্যবস্থার জন্য জগন্নাথদেবের লক্ষ লক্ষ ভক্ত আঘাত পেয়েছেন।” একই সঙ্গে তাঁর প্রার্থনা, “যাদের জন্য এই অব্যস্থা, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করুন। আশা করব সরকারে যারা আছে তারা আত্মসমালোচনা করবে এবং সতর্ক হবে।”
কংগ্রেস আরও চাঁচাছোলা। ওড়িশার কংগ্রেস নেতা ভক্ত চরণ দাস বলছেন, যা ঘটেছে সবটাই প্রশাসনিক অব্যবস্থার। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই অব্যবস্থা চলছে শ্রীক্ষেত্রের রীতিনীতিতে। কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, “শুনলাম পুরীতে কোন ভিভিআইপি আসছেন। গোটা পুলিশ প্রশাসন কি সেখানেই পড়ে রয়েছে?” ঘটনাচক্রে শনিবার সপরিবারে ওই রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।
সরকার অবশ্য পুরো বিষয়টির জন্য ভিড়কেই দায়ী করছে। খাতায়-কলমে পুরীতে শুক্রবার লোক হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ। ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন দাবি করেছেন, “ভালো আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের থেকে দেড়গুণ বেশি মানুষ এবার পুরীতে এসেছেন। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হয়েছে।” পুলিশ প্রশাসন বলছে, রথ সংলগ্ন ঘেরাটোপে বহু মানুষ ঢুকে পড়েন। সে কারণে অবাধে চলতে পারেনি রথ। বার বার বাধা পেয়েছে যাত্রা। সেবায়েত এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় নষ্ট হয়েছে। কারণ যাই হোক, মাঝপথে রথ আটকে যাওয়ায় বিজেপি সরকার যে ব্যাকফুটে সেটা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.