Advertisement
Advertisement

Breaking News

Prashant Kishor

‘নির্বাচন কমিশনার পক্ষপাতদুষ্ট’, ECI নিয়োগ কমিটিতে প্রধান বিচারপতির অন্তর্ভুক্তির দাবি পিকের

ইভিএম নিয়ে দ্বিচারিতা করছে বিরোধীরা, অভিযোগ পিকের।

Prashant Kishor question on ECI recruitment process
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:February 22, 2025 8:49 pm
  • Updated:February 22, 2025 8:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন জন সুরজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে নিয়োগ কমিটি বদলেরও দাবি তুললেন তিনি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একের পর এক নির্বাচনে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে দেশে। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, নিয়োগ কমিটিতে রাখতে হবে প্রধান বিচারপতিকে। তবে মোদি এই সংক্রান্ত আইন বদল করেছেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে তিনজনের মধ্যে যদি দুইজন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ হন, তাহলে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রাহুল গান্ধীর থাকা না থাকায় কিছু যায় আসে না।”

একইসঙ্গে বলেন, “এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়বে। কারণ ওনার নিয়োগ প্রক্রিয়াই সন্দেহজনক। এই সংক্রান্ত নিয়োগ কমিটিতে প্রধান বিচারপতি থাকলে অবশ্যই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ত না।” উল্লেখ্য, দীর্ঘ বছর ধরে দেশে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী দেশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতেন প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ওবং বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি এই নিয়ম বদলে সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে জায়গা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনও এক মন্ত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনুযায়ী এই পদে বসবেন সরকারের পছন্দের কোনও ব্যক্তি।

এছাড়াও ইভিএম বিতর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করার মতো লোক আমি নই। তবে যারা এই অভিযোগ করছে তাঁদের নিজেদের বক্তব্যে সৎ হওয়া উচিত। যখন জিতবেন তখন ইভিএম ঠিক আর যখন হারবেন তখন ইভিএমে কারচুপি, এটা ঠিক নয়। যদি ইভিএম নিয়ে সন্দেহ থাকে তবে নির্বাচন বয়কট করুক অভিযোগকারীরা।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ