Advertisement
Advertisement
SSC Case

‘রাজনৈতিক মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে রায়’, চাকরি বাতিল মামলায় আইনজীবীর নিশানায় অভিজিৎ

'ক্যাজুয়াল তদন্ত হয়েছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে এত বিতর্ক হত না', দাবি চাকরিচ্যুতদের আইনজীবীর।

SSC Case: Judge can have a political ideology but that cannot be the basis of an order, says Advocate
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 15, 2025 3:35 pm
  • Updated:January 15, 2025 3:35 pm   

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিচারপতির রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু সেটার ভিত্তিতে রায় দেওয়া ঠিক নয়। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা তথা কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে।

Advertisement

এদিন চাকরি বাতিল মামলায় দাভের সওয়াল, “এসএসসিতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে সঠিক তদন্ত হয়নি। কীভাবে দুর্নীতি, কারা কারা যুক্ত, সেটার সঠিক মূল্যায়নই হয়নি। ক্যাজুয়াল তদন্ত হয়েছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে এত বিতর্ক হত না।” চাকরিচ্যুতদের আইনজীবীর বক্তব্য, “সিবিআই হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশে সাধারণ ভাবে তদন্ত করেছে। ‘ক্যাজুয়াল’ তদন্ত হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে এত বিবাদই হত না। ওই বিচারপতি পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু সেটার ভিত্তিতে রায় দেওয়া উচিত নয়।”

এরপর নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগিও হাই কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রোহতগী বলছেন, আসল ওএমআর শিট এখনও পাওয়া যায়নি। যে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অথচ রিপোর্ট এখনও আসেনি।” সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে, কোনওভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারলে ঠিক আছে। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।

গত বছর এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে রাতারাতি চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও মামলা দায়ের করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাই কোর্টের ওই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এখনই তাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ