Advertisement
Advertisement

Breaking News

SSC Case

অযোগ্যদের জন্য যেন যোগ্যরা বঞ্চিত না হয়, সুপ্রিম কোর্টে দাবি চাকরিচ্যুতদের, পরবর্তী শুনানি কবে?

ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

SSC Case: next hearing on 27th January

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 15, 2025 4:39 pm
  • Updated:January 15, 2025 7:09 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা যেন বঞ্চিত না হয়। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় শীর্ষ আদালতে জোরালো সওয়াল চাকরিচ্যুতদের আইনজীবীদের। তাঁদের বক্তব্য, হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই যে তদন্ত করেছে, সেই তদন্তে অনেক খামতি রয়ে গিয়েছে। সেটার ভিত্তিতে যেন যোগ্যদের চাকরি বাতিল না করা হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ জানুয়ারি। সেইদিন রাজ্য সরকার এবং সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে পারে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

গত বছর এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে রাতারাতি চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও মামলা দায়ের করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাই কোর্টের ওই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এখনই তাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ।

কিন্তু এদিনও ওই চাকরিচুতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। শীর্ষ আদালতে এদিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক মামলার শুনানি চলে। শুনানিতে বিভিন্ন পক্ষের প্রায় ২০ জন আইনজীবী নিজেদের বক্তব্য রাখেন। এদিন মূলত মামলাকারীদের বক্তব্য শোনা হয়। চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে দাবি করেন, “এসএসসিতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে সঠিক তদন্ত হয়নি। কীভাবে দুর্নীতি, কারা কারা যুক্ত, সেটার সঠিক মূল্যায়নই হয়নি। ক্যাজুয়াল তদন্ত হয়েছে। সঠিকভাবে তদন্ত হলে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে এত বিতর্ক হত না।”

নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগিও হাই কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রোহতগী বলছেন, আসল ওএমআর শিট এখনও পাওয়া যায়নি। যে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অথচ রিপোর্ট এখনও আসেনি।” তিনিই দাবি করেন, “অযোগ্যদের জন্য যেন যোগ্যরা বঞ্চিত না হন।” সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে, কোনওভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারলে ঠিক আছে। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ