Advertisement
Advertisement
Supreme Court

রাজ্যপাল-রাষ্ট্রপতির বিলে সম্মতির সময়সীমা কেন? ব্যাখ্যা তৈরি সাংবিধানিক বেঞ্চের

এই শুনানির উপর কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোয় ক্ষমতা পৃথকীকরণের বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে।

Supreme Court forms connotational bench on Presidents nod to bills

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 20, 2025 2:30 pm
  • Updated:July 20, 2025 2:30 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধানের ১৪৩ ধারার অধীনে রাজ্যপালের বিলে সই করা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ১৩ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। আগামী ২২ জুলাই, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই মামলা সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ মেনে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চও গঠন করেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

পাঁচ বিচারপতির ওই বেঞ্চে রয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পি এস নরসিংহ এবং বিচারপতি এ এস চান্দুরকর। ২০০ এবং ২০১ অনুচ্ছেদের অধীনে সাংবিধানিক সিদ্ধান্তের জন্য বিচার বিভাগ সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

সাধারণত, কোনও রাজ্যের আইনসভায় বিল পাস হলে তা সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। ভারতীয় সংবিধানের ২০১ ধারা অনুযায়ী, কোনও বিল রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে তাঁর কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে- হয় ওই বিলে সম্মতি জানানো অথবা তা নাকচ করে দেওয়া। কিন্তু এই কাজের জন্য সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়নি। তা নিয়েই বার বার দ্বন্দ্ব চলে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে। সেই আবহে তামিলনাড় সরকারের এক মামলায় রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তোলেন উপরাষ্ট্রপতি-সহ অনেকেই। রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আদালতের আছে কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে।

এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পরামর্শ চান রাষ্ট্রপতি মুর্মুও। মূলত ১৩ দফা প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কোনও বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে আদালত কোনও পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, কোনও বিল অনুমোদনের জন্য সংরক্ষিত থাকলে রাষ্ট্রপতি ১৪৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আদালতের সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে। এই শুনানির উপর কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোয় ক্ষমতা পৃথকীকরণের বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ