Advertisement
Advertisement

চাকরি হারানোর জের, সিনিয়র ম্যানেজারকে গুলি করে খুন প্রাক্তন কর্মীর

ফেরার অভিযুক্ত৷

Tata Steel Subsidiary Manager Shot Dead
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 10, 2018 10:03 am
  • Updated:November 10, 2018 10:03 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাটা স্টিলের সিনিয়র ম্যানেজারকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন এক কর্মীর বিরুদ্ধে৷ ফরিদাবাদে টাটার অফিসে ঢুকে অরিন্দম পাল নামে ওই সিনিয়র ম্যানেজারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে৷ অভিযুক্তের চাকরি যাওয়ার নেপথ্যে ওই সিনিয়র ম্যানেজারের যোগসাজশ রয়েছে, এই আক্রোশে খুন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের৷

Advertisement

[মহিলাকে গণধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে লাঠি! নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া ঝাড়খণ্ডে]

অভিযুক্তের নাম বিশ্বাস পাণ্ডে৷ ২০১৫ সালে টাটা কোম্পানিতে চাকরিতে ঢুকেছিল সে। বছর ৩২-এর ওই কর্মীর বাড়ি এলাহাবাদে। গত আগস্টে ছাঁটাই করা হয়েছিল তাকে৷ শুক্রবার বিকালে দিল্লি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে বাটা চকের টাটার অফিসে যায় সে৷ সরাসরি সিনিয়র ম্যানেজার অরিন্দম পালের ঘরে ঢুকে যায়৷ অফিসে থাকা অন্যান্যদের দাবি, কিছুক্ষণ টাকা-পয়সার বিষয়ে সিনিয়র ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে সে৷

এরপর সিনিয়র ম্যানেজারের কেবিন থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়৷ অরিন্দমকে লক্ষ্য করে পরপর পাঁচটি গুলি চালায় বিশ্বাস৷ সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় সে৷ ইতিমধ্যেই গুলির শব্দ পেয়ে অন্যান্য কর্মীরা সিনিয়র ম্যানেজারের কেবিনের সামনে জড়ো হয়ে যান৷ ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন অরিন্দম৷ তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অরিন্দমকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ 

[সেনার হাতে উঠল ‘বজ্র’, শত্রুর উপর আছড়ে পড়বে সাক্ষাৎ মৃত্যু]

পরিবারের একমাত্র রুটিরোজগারী ছিলেন অরিন্দম পাল৷ বয়স মাত্র ৪০। কাছের মানুষ বলতে মা, বাবা, স্ত্রী ও মেয়ে ছিল অরিন্দমের। আচমকা অরিন্দমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিজনেরা৷ টাটা স্টিল প্রসেসিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ডিপার্টমেন্টের তরফে এক বিবৃতিতে নিহত অরিন্দম পালের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে৷ ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা অরিন্দমের পরিবারকে গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। এই সংকটের সময় তাঁর পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতার অঙ্গীকার করছি।’’

[‘আর্বান নকশাল’ ইস্যুতে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে নজিরবিহীন আক্রমণ মোদির]

অভিযুক্ত বিশ্বাস কেন অরিন্দমকে খুন করল, তা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চাকরি চলে যাওয়ার নেপথ্যে অরিন্দমের যোগসাজশ রয়েছে, এই ভেবেই বিশ্বাস হয় তো খুন করেছে তাকে৷ এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা বিশ্বাস৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ