সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর আকস্মিকভাবে মারা যান দাদা! এরপরই ধীরে ধীরে নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করেছিলেন পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অনুপ নায়ার। একটা সময় পর ছেড়ে দেন বহুজাতিক সংস্থার চাকরি। নিজেকে গুটিয়ে নিতে নিতে একটা সময় গৃহবন্দী করে ফেলেন। এরপর ওই অবস্থাতেই কাটিয়ে দেন তিন তিনটে বছর। অবশেষে একটি এনজিওর সদস্যরা নভি মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে গত সপ্তাহে উদ্ধার করেন তাঁকে। বছর ৫৫-র ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যে আবাসনের ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তি নিজেকে বন্দী করে ফেলেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মা, বাবার পর দাদার মৃত্যু অনুপকে একা করে দেয়। এরপর থেকেই কারও সঙ্গেই কথা বলতেন না তিনি। এরপরেই নিজেকে ফ্ল্যাটবন্দী করে নেন। কারও সঙ্গেই মেলামেশা করেতেন না। শুধুমাত্র বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে খাবার নিতে দরজা খুলতেন।
এরপর ওই আবাসনেরই এক ব্যক্তি একটি এনজিও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে এনজিওর সদস্যরা হানা দেন অনুপের ফ্ল্যাটে। এরপরই নোংরা ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এনজিও-র সদস্যরা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের অবস্থা খুব খারাপ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। এরই সঙ্গে নোংরা অবস্থায় থাকার জন্য একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা গিয়েছে অনুপের। এরপরই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আবাসনের কয়েকজন জানিয়েছেন, অনুপের পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতেও দেখা যায়নি। এই অবস্থায় নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। আবাসনের কয়েকজন মিলে তাঁকে একাধিকবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। একটা সময় পর তাঁরাও হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে আবাসনের এক ব্যক্তির চেষ্টায় এবং এনজিও-র সহযোগিতায় ওই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নতুন জীবন পেতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.