Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ahmedabad Plane crash

অসামরিক বিমান সুরক্ষায় বরাদ্দ মাত্র ৬৫ কোটি! উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সংসদীয় কমিটি, উপেক্ষা করে কেন্দ্র?

গোটা দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাই প্রশ্নের মুখে!

Weeks before Ahmedabad Plane crash, parliament panel flagged aviation security funding
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 20, 2025 1:17 pm
  • Updated:June 20, 2025 1:17 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর কেন্দ্র তথা এয়ার ইন্ডিয়া একাধিক প্রশ্নের মুখে। কেন দুর্ঘটনা? কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা? কোনওরকম গাফিলতি ছিল কিনা, এমন হাজারও প্রশ্ন। তবে এসবের থেকেও ভয়ংকর এবং বিস্ফোরক তথ্য এবার প্রকাশ্যে এল। জানা যাচ্ছে, শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, গোটা দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাই এখন প্রশ্নের মুখে। কারণ গত এক বছরে দেশের অসামরিক পরিবহণ ক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা! যা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদীয় কমিটি।

Advertisement

গত মার্চে রাজ্যসভায়, ভ্রমণ, পরিবহণ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি গত মার্চে সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, অসামরিক বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে যে সুরক্ষা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। ডিজিসিএ, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB), ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS) তিন সংস্থা মিলিয়ে ২০২৪-২৫ বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে DGCA পেয়েছে ৩০ কোটি, AAIB পেয়েছে ২০ কোটি এবং ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি পেয়েছে মাত্র ১৫ কোটি।

যাত্রীসংখ্যার নিরিখে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ শিল্প বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ যাত্রী বিমানে যাতায়াত করেন। সেখানে নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬৫ কোটি। উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু সেই উদ্বেগে বিশেষ পাত্তা দেয়নি কেন্দ্র। বাজেটও বাড়ানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পরোক্ষে কেন্দ্রের গাফিলতিও এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নয়?

এদিকে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এবার সরাসরি এয়ার ইন্ডিয়া ও ডিজিসিএ-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন সংস্থারই দুই প্রাক্তন সিনিয়র কেবিন ক্রু। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছেন। সেই চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন যে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানগুলিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও সংস্থার তরফে বারবার উপেক্ষা করা হয়। বরং, তাঁদের কোনও বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য, গত সপ্তাহের আমেদাবাদের দুর্ঘটনার জন্য কার্যত ‘অপেক্ষা করা হচ্ছিল’।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ